মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলাকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। গত সোমবার নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দেন, মেলার আগে যাবতীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই পূর্ত দফতর-সহ একাধিক দফতর মাঠে নেমে কাজ শুরু করেছে।
সড়কপথে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য বাবুঘাট থেকে কাকদ্বীপ লট-৮ এবং সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত ও সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি জায়গায় কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি বিকল্প বন্দোবস্ত হিসেবে সাগরতট সংলগ্ন এলাকায় কিছু ছোট রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে গঙ্গাসাগর–বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ। মেলার সময় ভিড় সামাল দিতে লট-৮, বেণুবন ও কচুবেড়িয়ার জেটি ঘাটগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু হয়েছে। তৈরি হচ্ছে একাধিক অস্থায়ী জেটি, যা মেলার সময় ব্যবহৃত হবে।
কপিলমুনি মন্দিরের কাছে নতুন একটি বাস স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা থেকে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কিছু অংশ মেরামতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেই কাজও জোরকদমে চলছে। পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলার সিংহভাগ দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ওপর। ইতিমধ্যে ঐ দপ্তরের আধিকারিকদের একটি দল গঙ্গাসাগর পৌঁছে গিয়েছে বলেই সূত্র জানানো হয়েছে। তারাই মূলত মেলা প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলার কাজ তদারকি করছেন। এ ছাড়াও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাও তাঁর দফতর থেকে মেলার কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন।
প্রশাসনিক আধিকারিক, বিধায়ক ও মন্ত্রীরা দফায় দফায় মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে আসছেন। নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মাসের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কাজে কোনও রকম ফাঁকফোকর যাতে না থাকে, সে বিষয়ে সব দফতরকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।