দিনের শেষে দুই অর্থমন্ত্রীই প্রশংসা কুড়োলেন শিল্পমহলের

লোকসভা ভোটের মুখে অন্তর্বর্তী বাজেট নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বাজেটকে ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখছে শিল্পমহল। অন্য দিকে, সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেটকেও জনমুখী ও বাস্তববাদী বলেই অভিহিত করেছে রাজ্যের বণিক মহল। তাদের বক্তব্য, নতুন কর না-চাপিয়েও যে ভাবে রাজস্ব আদায়ের দিশা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি, তা উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:০৭
Share:

বাজেট দেখছেন সিআইআই কর্মকর্তারা। বাঁ দিক থেকে সুবীর চাকি, সঞ্জয় বুধিয়া, অলোক মুখোপাধ্যায়, উমেশ চৌধুরী, অমিত সারাওগি। ছবি: কিশোর রায়চৌধুরী।

লোকসভা ভোটের মুখে অন্তর্বর্তী বাজেট নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বাজেটকে ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখছে শিল্পমহল।

Advertisement

অন্য দিকে, সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেটকেও জনমুখী ও বাস্তববাদী বলেই অভিহিত করেছে রাজ্যের বণিক মহল। তাদের বক্তব্য, নতুন কর না-চাপিয়েও যে ভাবে রাজস্ব আদায়ের দিশা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি, তা উল্লেখযোগ্য।

অন্তর্বর্তী কালীন বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের যে খুব কিছু করার ছিল না, সে ব্যাপারে একমত ফিকির প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ বিড়লা, অ্যাসোচ্যামের প্রেসিডেন্ট রানা কপূর প্রমুখ। পাশাপাশি কপূরের মতে, কেন্দ্রের রাজকোষের অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল রেখে যাওয়ার কৃতিত্ব নিতে পারেন চিদম্বরম। এর মধ্যেও দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে উৎপাদন শিল্পের জন্য (বিশেষ করে গাড়ি শিল্পে) আর্থিক সুবিধার কিছু টোটকা দেওয়ার জন্য চিদম্বরকে বাড়তি নম্বর দিচ্ছেন সিআইআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান সুধীর দেওরস। সিআইআই-এর প্রাক্তন পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা অলোক মুখোপাধ্যায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল, শিল্পের জন্য বিশেষ তিনটি ‘করিডর’ গঠনের প্রস্তাব।

Advertisement

প্রায় একই ভাবে রাজ্যের আর্থিক সমস্যার মধ্যেও সামাজিক উন্নয়নে সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়ন, কর ব্যবস্থার সরলীকরণের মতো অমিতবাবুর একগুচ্ছ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান রাজ্যের বণিকসভার কর্তারা।

যেমন অনগ্রসর এলাকা-সহ রাজ্যে সড়ক উন্নয়ন ও সেতু প্রকল্পে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সিআইআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান সুধীর দেওরস, বেঙ্গল চেম্বারের কল্লোল দত্ত প্রমুখ। তবে কল্লোলবাবুর মতে, বড় শিল্পের জন্য সে ভাবে কিছু প্রাপ্তি নেই এই বাজেটে। ইন্ডিয়ান চেম্বার মনে করছে এই বাজেট সকলের জন্য উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে। এমসিসি চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় অগ্রবাল, ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সজ্জন ভজনকা, বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট দিব্যেন্দু বসু কর ব্যবস্থায় অমিতবাবুর বিভিন্ন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে প্রবেশ করের ক্ষেত্রে বণিকসভাগুলি যে- সংশোধন চেয়েছিল তা পূরণ না- হওয়ায় হতাশা পুরোপুরি চেপে রাখতে পারেনি রাজ্যের শিল্পমহল। যেমন ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন্সের কর্তা মহেশ সিংঘানিয়ার অভিযোগ, প্রবেশ কর, বাণিজ্য নীতির মতো তাঁদের বেশ কিছু সুপারিশ ব্রাত্যই থেকে গিয়েছে রাজ্য বাজেটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement