আগের দিন ৩৪০ পয়েন্ট পড়ার পরে সোমবার সামান্য উঠল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স বাড়ল ৮৬.৬৯ পয়েন্ট।
বাজার অবশ্য দিনের শুরু থেকেই অস্থির ছিল। লেনদেনের পুরো সময়টা ধরে সূচক দ্রুত ওঠানামা করেছে। শুরুতে সূচক ছিল ২৬,২৭৫.০৭ অঙ্কে। বেলায় তা নেমে যায় ২৬,০৯২.৬৯ অঙ্কে। পরের দিকে পড়তি বাজারে লগ্নিকারীরা শেয়ার কিনতে থাকলে ফের উঠতে থাকে তার পারা। এক সময়ে সূচক ঠেকে ২৬,৪৪৩.১৬ অঙ্কে। দিনের শেষে সামান্য কিছুটা নেমে তা থিতু হয় ২৬,৩৮৪.০৭ অঙ্কে। অর্থাৎ সারা দিনে সূচক ওঠা-নামা করেছে ৩৫০ পয়েন্টের কিছু বেশি। এ দিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও ২৫ পয়সা বেড়েছে। এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬১.১০ টাকা।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, আরও কিছু দিন অনিশ্চিত থাকবে বাজার। তাঁদের এখন চিন্তায় ফেলছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ক্রমাগত শেয়ার বিক্রি করে চলা। কারণ এদের বিনিয়োগের দৌলতেই ভারতের শেয়ার বাজারের এই রমরমা।
অবশ্য প্রতি বারই বছরের শেষ দিকে ওই সব সংস্থার শেয়ার বিক্রির বহর বাড়ে। কারণ, তারা বিদেশে যে-সব লগ্নিকারীর কাছ থেকে বিনিয়োগের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে, তাদের অনেকেই ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে তহবিল ফেরত চায়। ফলে সেই অর্থের সংস্থান করতেই লগ্নি সংস্থাগুলি শেয়ার বেচে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা অনেকে মনে করছেন, বাজারের মৌলিক উপাদানগুলির তেমন উন্নতি না-হওয়াও ভারত সম্পর্কে বিদেশি লগ্নিকারীদের মনে হতাশা সৃষ্টি করছে। যদিও বিশেষজ্ঞেরা এটাও বলছেন যে, ভারতে বৃদ্ধির হার বিশ্বের অন্য যে-কোনও দেশের তুলনায় বেশি। তাই ওই সব লগ্নি সংস্থার পক্ষে বিনিয়োগের বিকল্প বাজারও খুঁজে পাওয়া কঠিন।
এ দিন এশিয়ার অধিকাংশ দেশের শেয়ার সূচকের মুখই ছিল নীচের দিকে। তবে ইউরোপের বাজার ছিল চাঙ্গা।