তলানিতে ঠেকেছে কল-কারখানার উৎপাদন। মূলত সেই কারণেই প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় শ্লথ হল বৃদ্ধির গতি। অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের ওই একই সময়ের তুলনায় তা দাঁড়াল ৫.৩%। যদিও অর্থ মন্ত্রকের আশা, আর্থিক বছরের শেষে তা দাঁড়াবে ৫.৪-৫.৯%।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে কল-কারখানায় জিনিসপত্র তৈরি (উৎপাদন শিল্প) বেড়েছে মাত্র ০.১%। যা দেখে ফের সুদ ছাঁটাইয়ের দাবি তুলেছে শিল্পমহল। তাদের মতে, পাইকারি ও খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বরং উদ্বেগজনক অবস্থা উৎপাদন শিল্পের। ফলে তাকে চাঙ্গা করতে ২ ডিসেম্বরের ঋণনীতিতে সুদ কমাক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এই আর্জিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক কতটা কান দেবে, তা নিয়ে সংশয় অবশ্য রয়েছে। কারণ, ৫.৩% বৃদ্ধির এই হার আগের তিন মাসের (৫.৭%) তুলনায় কম। কিন্তু আগের বছরের একই সময়ের (৫.২%) সাপেক্ষে বেশি। শুধু তা-ই নয়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল আলোচ্য ত্রৈমাসিকে হয়তো তা নেমে হবে ৫ শতাংশ। কিন্তু খনন (১.৯%), নির্মাণ (৪.৬%)-সহ কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির জেরে তা হয়েছে ৫.৩%।
তবে বণিকসভাগুলির দাবি, যা পরিস্থিতি, তাতে মূলধন সংগ্রহের খরচ কমিয়ে উৎপাদন শিল্পকে চাঙ্গা করতে অবশ্যই সুদ কমাক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একই সঙ্গে, সংসদে বিমা বিল, পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) বিল ইত্যাদি পাশ করে সংস্কারে গতি আনুক কেন্দ্রও। তবেই ঘুরে দাঁড়াবে শিল্প। এ দিনই লোকসভায় পাশ হয়েছে শ্রম আইন সংস্কার বিল। যার দিকে আজ বহু দিন সাগ্রহে তাকিয়েছিল শিল্পমহল।
রাজকোষ ঘাটতি নিয়ে চিন্তা। বৃদ্ধির গতি ঢিমে হওয়ার দিনে কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াল অক্টোবরের শেষেই রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯০ শতাংশে পৌঁছে যাওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে খরচে রাশ টানতে হবে। বিলগ্নিকরণের পথে হেঁটে চেষ্টা করতে হবে আয় বাড়ানোরও।