বাধ্যতামূলক ভাবে চটের বস্তা ব্যবহারের আইন তোলা নিয়ে বৈঠক

আজ, মঙ্গলবার চটকল মালিকদের বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যের জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্ত। পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেই তালিকার দু’নম্বরেই রয়েছে সরকারি তরফে খাদ্যশস্য মজুত করতে বাধ্যতামূলক ভাবে চটের বস্তা ব্যবহার সংক্রান্ত (জেপিএম) আইন ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা নিয়ে আলোচনার কথা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এ বার ওই বাধ্যবাধকতার দিন সত্যিই শেষ করতে চলেছে কেন্দ্র?

Advertisement

প্রভাত ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:২১
Share:

আজ, মঙ্গলবার চটকল মালিকদের বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যের জুট কমিশনার সুব্রত গুপ্ত। পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেই তালিকার দু’নম্বরেই রয়েছে সরকারি তরফে খাদ্যশস্য মজুত করতে বাধ্যতামূলক ভাবে চটের বস্তা ব্যবহার সংক্রান্ত (জেপিএম) আইন ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা নিয়ে আলোচনার কথা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এ বার ওই বাধ্যবাধকতার দিন সত্যিই শেষ করতে চলেছে কেন্দ্র?

Advertisement

জেপিএম আইন প্রত্যাহার নিয়ে মতামত জানতে আগেই রাজ্য, চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। তা জানার পরে এ বার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। এই উদ্দেশ্যে দিল্লিতে বৈঠক হবে ৯ ডিসেম্বর। থাকবেন অর্থ, বস্ত্র, কৃষি, খাদ্য সরবরাহ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকের আলোচ্য সম্পর্কে কথা বলতেই মঙ্গলবার চটকল মালিকদের ডেকেছেন সুব্রতবাবু।

কেন্দ্র মনে করে, দীর্ঘ দিন সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েও কাজে লাগায়নি চটকল-গুলি। খাদ্যশস্য মজুত করতে পর্যাপ্ত চটের বস্তা না-পাওয়ার অভিযোগ গত ৩-৪ বছর ধরে জানাচ্ছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগঢ়, উত্তরপ্রদেশের মতো বিভিন্ন রাজ্য। ফলে কেন্দ্র বেশ ক’বার সংরক্ষণের পরিমাণ কমিয়েছে। সতর্ক করেছে চটকলগুলিকেও। কিন্তু লাভ হয়নি। এ বার তাই মোদী-সরকার জেপিএম আইনই তুলে দিতে চলেছে বলে অর্থ মন্ত্রক সূত্রে দাবি। যদিও ইউপিএ জমানাতেই পাটশিল্পের জন্য ওই সংরক্ষণ অপ্রয়োজনীয় বলে রিপোর্ট পেশ করেছিল রঙ্গরাজন-কমিটি।

Advertisement

আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “আইন প্রত্যাহার হলে পশ্চিমবঙ্গের চটকলগুলি মরে যাবে।” সরকারের এই উদ্যোগের সমালোচনা করছে শ্রমিক সংগঠনগুলিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন