Goa Nightclub Fire Incident

গোয়ার সেই নৈশক্লাবের জমির মালিক ব্রিটেনে, অগ্নিকাণ্ডের পরই দেশ ছাড়েন! জারি হবে ব্লু কর্নার নোটিস

তদন্তকারীদের মতে, গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ওই নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের সময় গোয়াতে ছিলেন সুরিন্দর। তবে ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই পরের দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর ভারত ছেড়ে পালান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৫০
Share:

গোয়ার সেই নৈশক্লাবের জমির মালিক সুরিন্দরকুমার খোসলা। ছবি: সংগৃহীত।

গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতে আরপোরার নৈশক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এর জমির মালিক তিনিই। ওই নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পর পরই তিনি দেশ ছেড়ে পালান। সোজা উড়ে যান ব্রিটেনে। সেই মালিক সুরিন্দরকুমার খোসলার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ব্লু কর্নার নোটিস জারির প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

Advertisement

সুরিন্দর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। গোয়ায় তাঁর জমিতেই তৈরি হয় ‘বার্চ’ নৈশক্লাবটি। অগ্নিকাণ্ডের পর গোয়া পুলিশ খোঁজ শুরু করে সুরিন্দরের। অভিযুক্ত হিসাবে তাঁকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে সুরিন্দরকে সমন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান।

তদন্তকারীদের মতে, গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ওই নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের সময় গোয়াতে ছিলেন সুরিন্দর। তবে ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই পরের দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর ভারত ছেড়ে পালান। ব্লু কর্নার নোটিস জারি করে সুরিন্দরের গতিবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে চান তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, যে জমিতে নৈশক্লাবটি তৈরি হয়েছিল, তা সুরিন্দরকে লিজ় দেওয়া হয়। তবে জমির আসল মালিক প্রদীপ আমোনকার। দীর্ঘ দিন তাঁর সঙ্গে এই জমি নিয়ে আইনি বিরোধ চলছে সুরিন্দরের। প্রশ্ন, আইনি জটিলতা, মালিকানা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে কেন ওই জমি সৌরভ এবং গৌরব লুথরাকে নৈশক্লাব বানাতে দিয়েছিলেন তিনি? অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই ওই ক্লাবের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ও দমকল স্পষ্ট জানিয়েছে, ওই ক্লাবে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এই অব্যবস্থার সঙ্গে কি আইনি জটিলতা সম্পর্কিত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই সুরিন্দরকে সমন পাঠিয়ে তলব করেন তাঁরা।

গোয়ার নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ওই ক্লাবের তিন মালিক সৌরভ, গৌরব এবং অজয় গুপ্ত। অগ্নিকাণ্ডের পর পরই সৌরভ, গৌরবেরা তাইল্যান্ডে পালিয়ে যান। তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই ভাইয়ের খোঁজে প্রথমে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় গোয়া পুলিশ। ইন্টারপোলের তরফে লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়। গোয়া পুলিশও লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করে। এর মাঝে আবার ব্যাঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ করে তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেই কাজে তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষও পূর্ণ সহযোগিতা করেন। প্রথমে দুই অভিযুক্তের পাসপোর্ট ও ভিসা বাতিল করা হয়। তার পর ৯ ডিসেম্বর ফুকেতের একটি হোটেল থেকে তাঁদের আটক করে তাইল্যান্ডের অভিবাসন দফতর।

লুথরা ভাইদের ভারতে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালাচ্ছিল ভারত সরকার। তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের তরফে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার সকালে তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে আনা হয় তাঁদের। তার পর ইন্ডিগোর বিমানে লুথরা ভাইদের ফিরিয়ে আনা হয় ভারতে। বর্তমানে তাঁরা গোয়া পুলিশের হেফাজতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement