Cancer Risk Factors

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চান? বয়স ২০ পেরোলেই ৫টি অভ্যাসের বিষয়ে সতর্ক হোন

বয়স ২০ পেরোতেই জীবনে সফল হওয়ার দৌড়ে ছুটতে শুরু করেন সকলে। শুরু হয় জীবনধারায় নানা অনিয়ম। হায়দরাবাদ নিবাসী ক্যানসারের চিকিৎসক সাদভিক রঘুরাম সমাজমাধ্যমে বলেন ২০ বছর বয়স থেকেই ৫ অভ্যাসে লাগাম টানতে পারলে ক্যানসারের মতো মারণরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:০৭
Share:

ক্যানসার নিয়ে সচেতন হোন অল্পবয়সেই। ছবি: সংগৃহীত।

ক্যানসার দিন দিন চিন্তা বৃদ্ধি করছে চিকিৎসকদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, ভারতের মতো দেশে প্রতি দিনই ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় নানা প্রকার অনিয়ম এমন মারণ অসুখের দিকে ঠেলে দেয়। বয়স ২০ পেরোতেই জীবনে সফল হওয়ার দৌড়ে ছুটতে শুরু করেন সকলে। শুরু হয় জীবনধারায় নানা অনিয়ম। হায়দরাবাদ নিবাসী ক্যানসারের চিকিৎসক সাদভিক রঘুরাম সমাজমাধ্যমে বলেন ২০ বছর বয়স থেকেই ৫ অভ্যাসে লাগাম টানতে পারলে ক্যানসারের মতো মারণরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

Advertisement

১) কম ঘুমোলে চলবে না: সার্কাডিয়ান রিদ্‌ম হল শরীরের অভ্যন্তরের ২৪ ঘণ্টার ঘড়ি। ঘুমের চক্র ঠিকঠাক হলে তবেই সার্কাডিয়ান রিদ্‌ম ঠিক থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে এই সার্কাডিয়ান রিদ্‌মের উপর। তাই সারা দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম কিন্তু ভীষণ জরুরি।

২) প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া চলবে না: প্রক্রিয়াজাত মাছ, মাংস, সস্‌ বা প্যাকেটবন্দি বেকন, সালামি, হ্যাম, সসেজের লোভনীয় স্বাদ বার বার এ সবের দিকে টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকদের মত মানলে দেখা যায়, এগুলিকে গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন ও গ্রুপ ২এ কার্সিনোজেন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অত্যধিক পরিমাণে এ সব খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।

Advertisement

৩) অলস হলে চলবে না: চিকিৎসকের মতে, টানা আট থেকে দশ ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করলে কিন্তু কোলন আর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই অভ্যাস শুরু না করাই ভাল। কাজের মাঝেও হাঁটাচলার মধ্যে থাকতে হবে। তার সঙ্গে শরীরচর্চাও শুরু করতে হবে।

৪) ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিকে অবহেলা নয়: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে সতর্ক হোন। এই ঘাটতির সঙ্গে একাধিক ক্যানসারের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। তাই সতর্ক থাকুন, নিয়মিত পরীক্ষা করান।

৫) ই-সিগারেট কিংবা সিগারেট খাওয়া চলবে না: তামাকজাত দ্রব্যের বাজারে ই-সিগারেট এসে যাওয়ায় অনেকেই ধূমপানের সময় এটি ব্যবহার করেন। ভেবে থাকেন, এতে কম ক্ষতি হয়। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ই-সিগারেটেও সমান ক্ষতি হয়। সাধারণ বিড়ি-সিগারেট ও ই-সিগারেট— সব ক্ষেত্রেই শরীরে ঢুকে পড়ে তামাক ও কার্বন। ক্যানসার দানা বাঁধার সব রকম উপাদান এতে মজুত। তাই ক্যানসার থেকে রক্ষা পেতে সব রকম ধূমপানই বর্জন করতে হবে। তামকজাত পদার্থগুলি এড়িয়ে চলুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement