জিম ইয়ং কিম
ভারতে বিজেপি-র নেতৃত্বে সদ্য গঠিত নতুন সরকার অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে কী কী ব্যবস্থা নেয়, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চায় বিশ্বব্যাঙ্ক। তাই আগামী কাল থেকে তিন দিনের ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে পা রাখছেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। চলতি সপ্তাহেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। থাকবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও।
বিশ্ব্যাঙ্কের জারি করা বিবৃতিতে কিম বলেন, “ভারতবাসী নতুন সরকারকে ক্ষমতায় আনতে নির্বাচনে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। ভারতের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে তার উন্নয়নের সম্ভাবনা কতটা, সেটা ফিরে দেখার সুযোগ এখনই নিতে হবে।” কিম জানান, মোদী ও জেটলি ভারতের আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, তা বুঝে নিতেই আলোচনার টেবিলে বসছেন তিনি। কিমের কথায়, “ভারত সরকারের পরিকল্পনা জানতে পারলে বিশ্বব্যাঙ্ক তাকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারবে। নিতে পারবে উপদেষ্টার ভূমিকাও।”
বিশ্ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় তামিলনাড়ুতে যে-সব গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে, সেগুলিও ঘুরে দেখবেন কিম। গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দিয়ে সেগুলির রূপান্তর ঘটানো, সেখানকার মেয়েদের দক্ষতা বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ইত্যাদি ওই প্রকল্পগুলির আওতায় কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা নিজের চোখে দেখতে চান কিম।
২০১৩-র জুলাই থেকে ২০১৪-র জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাঙ্ক ও তার বিভিন্ন শাখা মারফত ভারতে আর্থিক সাহায্যের অঙ্ক ৬৪০ কোটি ডলার (প্রায় ৩৮,৪০০ কোটি টাকা)। এর মধ্যে আছে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ২০০ কোটি ডলার ঋণ, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির ৩১০ কোটি ডলার ও পরিবেশ সহায়ক প্রযুক্তি তহবিল থেকে সার্বিক ভাবে বিশ্বব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর ১০ কোটি ডলার ঋণ। বেসরকারি ক্ষেত্রে ঋণদানের জন্য গড়া শাখা ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন ভারতে ১২০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।