নিলামে উঠেছিল ১২০টি বিশেষ ধরনের মোবাইল নম্বর। কিন্তু আগ্রহী গ্রাহকেরা দর দিলেন মাত্র ২২টির জন্য। যদিও বিএসএনএল-এর পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের দাবি, সংখ্যাটা কম হলেও বাজারে তাদের মোবাইল নম্বরের চাহিদা বাড়ছে। কারণ এর আগে এমন ১০টি নিলাম হলেও এ বারই প্রথম এতগুলি নম্বরের জন্য দর দিয়েছেন আগ্রহী ক্রেতারা। একটি নম্বরের জন্য সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২২,৪০০ টাকা।
কোটি কোটি নম্বরের ভিড়ে নিজের আলাদা পরিচিতির জন্য বিশেষ নম্বরের (যেমন শেষ পাঁচটি সংখ্যা একই) চাহিদা রয়েছে বাজারে। নতুন গ্রাহক টানার দৌড়ে তা কাজে লাগাতেই এ ধরনের নিলাম চালু করে বিএসএনএল। গত রবিবার পর্যন্ত ১২০টি নম্বর নিলাম করে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল। সংস্থার জিএম (বিপণন) অসীম কুমার সিন্হা জানিয়েছেন, ২২টি নম্বরের জন্য মোট ২,২২,৭০০ টাকা দর দিয়েছেন আগ্রহীরা। সর্বনিম্ন দর ৫১০০ টাকা।
কিন্তু দরপত্র কম আসায় প্রশ্ন উঠেছে বিএসএনএলের নম্বরের চাহিদা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সকলেই যে সবক’টি নম্বর কিনবেন, তারও নিশ্চয়তা নেই। সংস্থার কর্তারা অবশ্য আশাবাদী। অসীমবাবু বলেন, ‘‘এর আগে একটি নিলামে সবচেয়ে বেশি ১৪টি নম্বরের জন্য দর দিয়েছিলেন ক্রেতারা। ফলে এ বার তা অনেকটা বেড়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, সংস্থার পরিষেবা যে-উন্নত হয়েছে, তা জানিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই-ও। কিছু শহরে সমীক্ষা চালিয়ে ট্রাইয়ের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানিয়েছে, বিএসএনএলের পরিষেবা বেসরকারি সংস্থার চেয়ে ভাল বা সমতুল।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে গত আড়াই বছরে ১০টি নিলামে ১৭০টি নম্বরের জন্য গ্রাহকেরা দর দিলেও শেষ পর্যন্ত বিক্রি হয় মাত্র ৩২টি। সংস্থার আয় হয় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। একটি নম্বর সর্বোচ্চ ১৬,৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। মূলত নম্বরের ন্যূনতম দর বেশি থাকায় ও যথাযথ প্রচারের অভাবেই সাফল্য আসেনি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।