উঠল আগাম টিকিট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

সূচি মেনেই উড়ল স্পাইসজেটের বিমান

ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে স্পাইসজেট। জ্বালানির অভাবে বুধবার বেশির ভাগ উড়ান বাতিলের পরে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সূচি মেনেই বিমান চালানো হয়েছে বলে দাবি সংস্থার। এক মাসের বেশি টিকিট না-বেচার যে-নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র, এ দিন তা-ও তুলে নেওয়া হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, এখন থেকে ২০১৫-র ২৮ মার্চ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা যাবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিক্রি শুরুও হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা শুভ সঙ্কেত।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১৩
Share:

ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে স্পাইসজেট।

Advertisement

জ্বালানির অভাবে বুধবার বেশির ভাগ উড়ান বাতিলের পরে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সূচি মেনেই বিমান চালানো হয়েছে বলে দাবি সংস্থার। এক মাসের বেশি টিকিট না-বেচার যে-নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র, এ দিন তা-ও তুলে নেওয়া হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, এখন থেকে ২০১৫-র ২৮ মার্চ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা যাবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিক্রি শুরুও হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা শুভ সঙ্কেত। এর অর্থ, স্পাইস লড়াইয়ে টিঁকে থাকতে চাইছে।

এই মুহূর্তে বাজারে স্পাইসের বকেয়া ২ হাজার কোটি টাকা। বছর দুয়েক আগে মুখ থুবড়ে পড়ার সময়ে কিংফিশারের বকেয়া ছিল ৬ হাজার কোটি। কিংফিশার বন্ধ হওয়ার আগে তাদের টিকিট বিক্রি করে ১০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছিল ট্রাভেল এজেন্টদের। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এখনই স্পাইসের টিকিট বেচতে রাজি নন তাঁরা। সন্দেহ রয়েছে সাধারণ যাত্রীদেরও। স্পাইসের টিকিট কেটে গত ক’দিন তাঁরা যে-সমস্যায় ভুগেছেন, তার পরে কেউ সংস্থার টিকিট কাটবেন কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। যে-সব ট্রাভেল সাইটে ঢুকে বিমানের টিকিট কাটা যায়, সেখানে এখন ফেব্রুয়ারি-মার্চের জন্য সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে স্পাইসের টিকিট।

Advertisement

কলকাতার দুই বাঙালি ব্যবসায়ী অগ্নিমিত্র বিশ্বাস ও সৈকত বসু জানান, যত সস্তাতেই মিলুক না-কেন, স্পাইসের টিকিট কাটবেন না। অগ্নিমিত্রের কথায়, “সস্তায় স্পাইসের টিকিট কাটলাম আর শেষ মূহূর্তে তা বাতিল হল, তখন তো চার গুণ বেশি টাকা দিয়ে অন্য সংস্থার টিকিট কাটতে হবে।” সৈকতবাবু বলেন, “গত সপ্তাহে স্পাইসের জন্য কয়েক হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এর চেয়ে অন্য সংস্থার টিকিট দু’তিন হাজার টাকা বেশি দিয়ে কাটাও ভাল।”

গত ক’দিনে যাত্রীদের যে-অসুবিধা হয়েছে তার জন্য এ দিন স্পাইসের তরফে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। সংস্থার এক অফিসার জানান, যাত্রীদের মধ্যে এই সংশয় স্বাভাবিক। কিন্তু, যখন দেখবেন স্পাইস আবার নিয়মিত উড়ান চালাচ্ছে তখন তাঁরা ফিরে আসবেন। মার্চ পর্যন্ত উড়ান চালানোর ঘোষণায় স্বস্তি পেয়েছেন সেই সব যাত্রী, যাঁরা স্পাইসের টিকিট বাতিল করে অন্য সংস্থায় টিকিট কেটেছেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল বাতিল টিকিটের দাম ফেরত পাবেন না। বৃহস্পতিবার যে-২৩০টি উড়ান চলে, তার মধ্যে বুধবার ১৫০টি বাতিল হয়েছিল।

এ দিকে কর্ণধার কলানিধি মারান ইতিমধ্যেই ৮২০ কোটি টাকা লগ্নি করেছেন। কিন্তু, এখনই তিনি আর নগদ ঢালার অবস্থায় নেই বলে তাঁর মূল সংস্থা সান গ্রুপের প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন