Kolkata news

বৌবাজার কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ নিতে গেলে এ বার মেট্রোকে মুচলেকা দিতে হবে ঘরছাড়াদের

সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের পর পুরসভা এবং পুলিশের সাহায্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা বানাতে শুরু করে মেট্রো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৪৫
Share:

মেট্রোর তরফে ক্ষতিপূরণের চেক পেয়েছেন এঁরা। —ফাইল চিত্র।

ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে গেলে এ বার মেট্রো কর্তৃপক্ষকে মুচলেকা দিতে হবে বৌবাজারের ঘরছাড়া পরিবারের সদস্যদের। তথ্যের গরমিল রুখতে এবং ক্ষতিপূরণের টাকা যাতে বেহাত না হয়, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেএমআরসিএল।

Advertisement

সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের পর পুরসভা এবং পুলিশের সাহায্য নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা বানাতে শুরু করে মেট্রো। তালিকা তৈরির কাজ এখনও চলছে। মেট্রোর কাজের জন্য বৌবাজার এলাকায় ঘরছাড়াদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেএমআরসিএল। ইতিমধ্যে অনেককেই চেক বা সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েও দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে গিয়েই বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

দেখা গিয়েছে, অনেক দাবিদারই একই পরিবারের সদস্য অথচ তাঁরা আলাদা থাকার দাবি করছেন। যেমন কোনও পরিবারে তিন ছেলে হলে, তাঁরা প্রত্যেকেই আলাদা থাকার দাবি জানাচ্ছে। তেমন স্বামী-স্ত্রীও আলাদা থাকার দাবি জানিয়ে আলাদা ক্ষতিপূরণও চাইছেন। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন, প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের বৌবাজারেরই বাসিন্দা এবং মেট্রোর কাজের জন্য এখন ঘরছাড়া বলে দাবি করে তালিকায় নাম ঢোকানোর দাবি জানাচ্ছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: এখানে এনআরসি করতে এলে দম দম দেব: মমতা

এই সমস্ত দাবিদাওয়ার সত্যাসত্য বিচারে ফ্যাসাদে পড়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষও। ক্ষতিপূরণ যাতে বেহাত না হয়, তার জন্য তাই মুচলেকার দাওয়াই আনছেন তাঁরা। মেট্রো সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার আগে প্রতিটা পরিবারকেই মুচলেকা দিতে হবে। মুচলেকার বয়ান হবে এ রকম, তিনি তাঁর পরিবার সম্পর্কে যা তথ্য মেট্রোকে জানিয়েছেন, তার সবটাই ঠিক। ভেরিফিকেশনের সময় কোনও অসত্য তথ্য ধরা পড়লে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর তো ‘ট্রেলার’ মাত্র, সিনেমা এখনও বাকি, ৩৭০ রদ নিয়ে বললেন মোদী

স্থানীয় কাউন্সিলর সত্যেন্দ্রনাথ দে বলেছেন, ‘‘মেট্রো কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের সমস্ত দাবিদারদের দিয়ে একটা ফর্ম পূরণ করিয়ে নিচ্ছেন। দাবিদারকে নিজের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ওই ফর্মে লিখতে হবে। ওই এলাকার অনেকেরই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড নেই। অনেকেই দীর্ঘ দিনের ভাড়াটিয়া কিন্তু বহু দিন ওই এলাকায় থাকেন না। অথচ তাঁরাও যদি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ক্ষতিপূরণের দাবি করেন, সেটা ঠিক নয়। এই সমস্যা কী ভাবে সমাধান করা যাবে তা নিয়ে নবান্নে মিটিং রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খোঁজা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন