প্রবন্ধ ১

‘আপনি এক নূতন সমাজের স্বপ্ন দেখিতেন’

পাখিদের চিরকাল ঠাঁই দিয়ে এসেছি আমাদের প্রতি দিনের জীবনে, গানে, কবিতায়, গদ্যে। আবহাওয়া পরিবর্তনের খবর এনে দেওয়া থেকে শস্য উৎপাদনে, কীটনাশকের কাজে, মায় জঞ্জাল সাফাইতেও অপরিহার্য পাখিরা আজ বিলুপ্তির পথে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

পাখিদের চিরকাল ঠাঁই দিয়ে এসেছি আমাদের প্রতি দিনের জীবনে, গানে, কবিতায়, গদ্যে। আবহাওয়া পরিবর্তনের খবর এনে দেওয়া থেকে শস্য উৎপাদনে, কীটনাশকের কাজে, মায় জঞ্জাল সাফাইতেও অপরিহার্য পাখিরা আজ বিলুপ্তির পথে। পাখির পিছনে ছুটে, ছবি তুলে যাঁর দিন কাটে সেই রূপঙ্কর সরকারের কলমে পরিবেশের এই বিপন্নতা, সঙ্গে স্কেচ। পাখালিনামা (৯ঋকাল বুকস্‌। ৪৫০.০০)।

Advertisement

শুধু তো রাজনীতি নয়, সমাজ, রাষ্ট্র, ইতিহাস, দর্শন, ধর্ম, মনস্তত্ত্ব, নারীমুক্তির প্রশ্নগুলি কী ভাবে শিল্পের স্তরে উন্নীত করতেন উৎপল দত্ত তাঁর নাটকে, কী ভাবে তাঁর আত্মজীবনে গড়ে উঠেছিল শিল্পদর্শন বা সৃষ্টিলোক, তাই শঙ্কর শীলের অনুসন্ধিৎসু কলমে: উৎপল দত্ত: মনন ও সৃজন (প্রতিভাস। ৮০০.০০)।

নগরকেন্দ্রিক মঞ্চনাট্যের পরিমণ্ডল থেকে বেরিয়ে, অভিনেতা-দর্শকের দূরত্ব-ব্যবধান ভেঙে, বাজারি হিসেবের বাইরে স্বাধীন থিয়েটারের স্বপ্নে যে মানুষটা ‘থার্ড থিয়েটার’-এর জন্ম দিয়েছিলেন সেই বাদল সরকারকে নিয়ে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বাদল সরকার: এবং ইন্দ্রজিৎ থেকে থার্ড থিয়েটার (থীমা। ৩৫০.০০)। ভূমিকা ছাড়াও শমীকের তিন পর্বের কথোপকথন বাদলবাবুর সঙ্গে। তাঁকে নিয়ে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্বদের দৃষ্টিকোণ, বাদলবাবুর নিজেরও রচনাদি। থীমা থেকেই বেরোচ্ছে থার্ড থিয়েটার আন্দোলনের কর্মী বিশাখা রায়ের বর্ণনায় ও বিচারে থার্ড থিয়েটার: অন্য স্বর, অন্য নির্মাণ (২০০.০০)।

Advertisement

হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রেকর্ডিং, সংগ্রহ, আর্কাইভিং বিষয়ে দীর্ঘ কথোপকথনের পাশাপাশি অম্লান দাশগুপ্ত লিখেছেন খেয়াল গানের গোড়ার কথা ও আধুনিকতা নিয়ে। উস্তাদ আমীর খাঁ ও উস্তাদ মল্লিকার্জুন মনসুরকে নিয়েও তাঁর রচনা। গান নিয়ে (তালপাতা। ১৮০.০০)।

‘শৈশবে যা ছিল নেহাৎই নির্জনতার ব্যথা, আজ পরিণত বয়সে তা বেড়ে গিয়ে নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণায় পরিণত।’ কবি জয়দেব বসুর দিনলিপি— ডায়েরি থেকে (সপ্তর্ষি। ২৫০.০০)। ১৯৮৬-২০০৫ পর্যন্ত তাঁর অকপট রোজনামচা, যা ব্যক্তি পরিসর ছাপিয়ে পৌঁছে যায় বাঙালি সংস্কৃতি-রাজনীতির নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায়। মূল ডায়েরির প্রতিলিপি ও টীকাসহ প্রকাশ পেল।

সাহিত্যিক, সাংসারিক মানুষ, গ্রামীণ শিল্পী— প্রবীণ-নবীন দুই প্রজন্মেরই স্মৃতিকথন, নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিবেদন বর্ডার/ বাংলা ভাগের দেওয়াল-এ (গাঙচিল। ৪৫০.০০)। সম্পাদক অধীর বিশ্বাস জানিয়েছেন ‘একটা সীমারেখা হঠাৎ করে একটা জাতির জীবন তছনছ করে দেশ আর বাসভূমিকে আলাদা করে দিয়ে গেছে। সেই সীমারেখা, সেই বর্ডার আমাদের বাংলা আর বাঙালির জীবনে যে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে দিয়ে গেছে... আমরা বরং সেই অন্তহীন যন্ত্রণায় অস্থির মানুষগুলির নিজেদের মুখের কথা শুনব।’ এখানেই আছে বাংলাদেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেলের সাক্ষাৎকার। তাঁরই দ্বিতীয় উপন্যাস কীর্তিনাশা-ও (অনার্য। ১৫০.০০) প্রকাশ পেল, তাতে ভিন্ন সম্প্রদায়ের দুই বন্ধুর সম্পর্কের প্রেক্ষিতে ধরা পড়েছে বাংলা ভাগের বিপর্যয়ের চালচিত্রটি।

১৯৭৬-এ স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত যে রাষ্ট্রসত্তা তা পালটে দেওয়ার এক চক্রান্ত শুরু হয়, তার হদিশ মিলবে শামসুজ্জামান খান-এর দিনলিপি-তে (অন্বেষা। ৩৫০.০০)। ওপার বাংলার সংস্কৃতি-তাত্ত্বিক ও গবেষক শামসুজ্জামানের ১৯৭৬-২০০৫-এর দিনলিপিতে ইতিহাসের নানা ইঙ্গিত।

সে ইস্কুলে ছিল অনেক খেলার মাঠ, লাইব্রেরি, হাসপাতাল, গোশালা। শিল্পী সুনীল পাল আর রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়া সেই অপরূপ ইস্কুলের শরীরে। স্বামী হিরণ্ময়ানন্দের শ্রম আর স্বপ্নে গড়ে ওঠা পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা মাধ্যমিকে করত তাক লাগানো রেজাল্ট। সেখানকার মজা, দুষ্টুমি, খাওয়া-দাওয়া, ফাঁকিবাজি, শাসন, অবদমন সব নিয়ে বর্ণময় রূপকথা: ইস্কুলগাথা (বিশ্বজিৎ রায়, সপ্তর্ষি। ২০০.০০)।

সাহিত্য-দর্শনের প্রেক্ষিতের তুলনায় মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে রবীন্দ্রব্যক্তিত্ব ও তার বিকাশ বিষয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ এবং অপ্রতুল। রিমঝিম রায় ও সংযুক্তা দাশের রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীদেবী/ মনোবিজ্ঞানের আলোকে সম্পর্কের ইতিবৃত্ত (সিগনেট প্রেস। ২০০.০০) বইটিতে এরিকসনের তত্ত্বের ভিত্তিতে কবির ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রতিটি পর্যায়ে নতুন বউঠানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী প্রভাব ফেলেছিল তারই আলোচনা।

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে হরিচাঁদ ঠাকুর ও পরে তাঁর পুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া আন্দোলনের শুরু। তাঁদের ধর্ম দর্শনের বিস্তারিত আলোচনা মনোশান্ত বিশ্বাসের বাংলার মতুয়া আন্দোলন/সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি গ্রন্থে (সেতু প্রকাশনী। ৪৫০.০০)। দেখানো হয়েছে কী ভাবে সেই দর্শনে নিহিত ছিল বর্ণ সমাজের বিরুদ্ধে অবদমিত দলিত শ্রেণির জাগরণের বাণী। মতুয়াদের সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস এই বইতে আটটি অধ্যায়ে বিশ্লেষিত।

‘বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে বিভিন্ন সম্পাদক ও তাঁদের সম্পাদিত পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সম্পাদনা কর্মের এই পথটি কোনওদিনই তেমন মসৃণ ছিল না, আজও নেই।... হরিনাথ মজুমদার, নজরুল ইসলাম প্রমুখ সম্পাদককে রাষ্ট্রীয় পীড়ন পর্যন্ত সহ্য করতে হয়েছিল।’ লিখেছেন বাংলা পত্রপত্রিকা/ সম্পাদক ও সম্পাদনা-র (কোরক। ২০০.০০) সম্পাদক তাপস ভৌমিক। বইটিতে তত্ত্ববোধিনী থেকে এক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সম্পাদকদের অবদানের কথা রয়েছে।

‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা রাজপুত্তুর তো গল্পে-টল্পে হয়। কিন্তু স্বপ্নে দেখা কাকাবাবু! ভাবাই যায় না। কিন্তু তাও হল। বুদ্ধবাবু স্বপ্নে কাকাবাবুর সঙ্গে বৈঠক করলেন।...’ শুভাশিস মৈত্র লিখেছেন তাঁর রাজনীতি টাজনীতি, পরিবর্তনের পরে (প্রাচী প্রতীচী। ২০০.০০) বইতে। লেখক ‘আমার কথা’য় বলে রেখেছেন, রাজনীতি-টাজনীতিতে-র কোনও চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল কেউ পেলে তা নেহাতই কাকতালীয়।

‘নজরুলকে আমরা প্রায় হারাতে বসেছিলাম। শতবর্ষ-ঘটনা কিছুটা আমাদের গ্লানিমোচনের সুযোগ ঘটাল।...নজরুল-জীবনী প্রকাশিত হল কলকাতা বইমেলার সরকারি মঞ্চে ২০০০ সালের জানুয়ারিতে’ লিখেছেন সদ্যপ্রয়াত অরুণকুমার বসু তাঁর নজরুল জীবনী (আনন্দ। ৬০০.০০) বইয়ের নতুন সংস্করণের ভূমিকায়। বইটি প্রতিভাময় কবির বিচিত্র জীবনসংগ্রাম তথা সৃষ্টিকর্মের খ্যাতি-অখ্যাতি, সাফল্য-অসাফল্যের নেপথ্য কাহিনির পূর্ণাঙ্গ, মর্মগ্রাহী উপস্থাপনায় অনন্য।

‘আবৃত্তির কি ক্লাসরুম হয়? কিংবা অন্য কোনও শিল্পের? আমি নিজেই তো সে অর্থে কোনও ক্লাসরুম প্রোডাক্ট নই। নিজের খুশিতে, বাবা-মা’র হাত ধরেই তো আমার কবিতার পথে চলা শুরু।’ লিখছেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কবিতার পাঠশালা-য় (আনন্দ। ১৫০.০০)। কবিতাকে কেমন ভাবে তুলে নেবেন নিজ কণ্ঠস্বরে, তার জন্য কী ভাবে প্রস্তুত করবেন নিজেকে— এ সব কিছু নিয়েই বইটি। সঙ্গে লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার টুকরো স্মৃতি।

মনের দিক থেকে ধর্মীয় ভাবাবেগ, রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত অধ্যাপক ভবতোষ দত্ত প্রবন্ধ রচনার নিজস্ব একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন। তথ্যাশ্রয়ী বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধ সাহিত্যের প্রতি এই নিষ্ঠা, এই নিবেদন, তিনি তাঁর অগণিত ছাত্রমহলে চারিেয় দিতে পেরেছিলেন। তাঁর প্রবন্ধের বিষয়ভিত্তিক সংকলন প্রবন্ধ সংগ্রহ/ভবতোষ দত্ত (সম্পা: গার্গী দত্ত, দীপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, এবং মুশায়েরা। ৫০০.০০)।

রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্তের (১৯১৫-২০০৯) অগ্রন্থিত রচনাগুলি প্রকাশ পেল বিবিধ প্রবন্ধ/রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত (সম্পা: অমলকুমার মুখোপাধ্যায় ও চিন্ময় গুহ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ৩০০.০০) বইয়ে। সাহিত্য, ধর্ম, সমাজ বিষয়ক অসামান্য রচনাদির সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘কলেজ স্কোয়ারে অ্যারিস্টটল’, যেখানে বর্তমান বাঙালি সমাজের সার্বিক অবক্ষয় দেখে মুহ্যমান বিদ্যাসাগরকে অ্যারিস্টটল বলছেন, ‘আপনি এক নূতন সমাজের স্বপ্ন দেখিতেন।’ রচনাগুলি সাজিয়ে দিয়েছেন শঙ্খ ঘোষ।

উনিশ শতকে স্বদেশ চেতনার প্রসারে অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল রাজনারায়ণ বসুর (১৮২৬-১৮৯৯)। তাঁর স্বল্পালোচিত জীবন ও কর্ম ফিরে দেখার তাগিদেই প্রকাশিত হল প্রবন্ধ সং‌কলন/ রাজনারায়ণ বসু (সম্পা: অর্ণব নাগ, ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ। ২৫০.০০)। একালের পাশাপাশি রাজনারায়ণকে সেকেলে মানুষজনও ঠিক কোন দৃষ্টিতে দেখেছিলেন, সেই অপরীক্ষিত সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করায় এই বই।

রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতন্ত্রের স্তম্ভ আইন-আদালত আমাদের কাছে যেন ধ্রুব সত্য হয়ে ওঠে। ঈশ্বরের মতো তাকে বিশ্বাস করি আমরা। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুদণ্ড ঘিরে সেই বিশ্বাসের মিথ-টিকে ছিঁড়ে তার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যের ফাঁকফোকরগুলি তুলে ধরেছেন দেবাশিস সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, পরমেশ গোস্বামী। আদালত-মিডিয়া-সমাজ এবং ধনঞ্জয়ের ফাঁসি (গুরুচণ্ডা৯। ১১০.০০)।

মৃত্যুর ঝুঁকির কথা ভেবে সদা-সতর্ক থাকার চেয়ে জীবন উপভোগ অনেক বড়। স্বাভাবিক জীবন যাপনের সব কিছুর বিরুদ্ধেই যে যুদ্ধ হেঁকেছে আমাদের ব্যবহারিক চিকিৎসা, তার সেই অনাধুনিক ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধের বিপ্রতীপে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যুক্তিকে তত্ত্বে-তথ্যে, চিকিৎসক হিসেবে নিজের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পেশ করেছেন স্থবির দাশগুপ্ত। জীবন যাপন ও ক্যানসার (ধানসিড়ি। ৩২৫.০০)।

কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ স্মৃতিকথার পাঠপ্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি নাটক-চলচ্চিত্রের দর্শক-প্রতিক্রিয়া— অবশ্যই বিকল্প পড়া এবং বিকল্প দেখা। তাতে মণীন্দ্র গুপ্তের উপন্যাস, শম্ভু মিত্রের অভিনয়, বা অপু ট্রিলজি-র ষাট বছর পূর্তি থেকে হালফিল ‘প্রাক্তন’ নিয়েও আলোচনা। রুশতী সেনের কিছু মুহূর্ত কিছু আশ্রয় (এবং মুশায়েরা। ২৫০.০০)।

নিজের দেশ থেকে সারা দুনিয়ায় যেন পিঠ ঠেকে গিয়েছে বাঙালির, আত্মপরিচয় হারাতে বসেছে, তার অনেকটা কারণই আমাদের চারপাশের অযোগ্য আস্ফালন। এমন এক ক্লিষ্ট মুহূর্তে শঙ্খ ঘোষ আমাদের পৌঁছে দেন তাঁর এক আশ্চর্য স্মৃতির সম্ভারে, সেখানে ‘সামনে-দেখা অনেক বিনয়ছবিও কি ভেসে আসে না কাছে? নিরহং আচরণের অনেক অনাবিল চিহ্নও কি ধরা থাকে না আমাদের অভিজ্ঞতায়?’ তাঁর এই নিরহং শিল্পী (তালপাতা। ২০০.০০) নতুন ভাবে সচল করে তোলে আমাদের মন।

রাষ্ট্রীয় শাসন-শোষণের নিগড় ভাঙতে নিয়ত লড়াই করে চলেছেন অজিত চক্রবর্তী, তাঁর কলমে তাঁরই নিজের দীর্ঘ কারাবাসের কাহিনি জেলের গারদে জীবনের গান (সেতু। ২০০.০০)।

১৯৮২-’৮৯, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে বন্দি থাকার সময়ে নকশাল নেতা আজিজুল হক ডায়রি লিখেছেন একাধিক। সেরকমই একটি অপ্রকাশিত ডায়রি, ১৯৮৮-র জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে লেখা, জেলখানার নোটবই (আর বি এন্টারপ্রাইজেস। ১৩০.০০)। ‘মার্কসবাদী কারাসাহিত্যে এক নতুন দিক ফলক’, লিখেছেন সম্পাদক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন