পয়লা বৈশাখের দিন সকলে ভারতীয় সাজতেই পছন্দ করেন। আর ভারতীয় সাজের কথায় প্রথমেই আসবে শাড়ি। আর শাড়ির ক্ষেত্রে কিন্তু এখন হ্যান্ডলুমের ট্রেন্ড। সিম্পল, সুন্দর কালার কম্বিনেশনের হ্যান্ডলুম শাড়ি। ভারী শাড়ি বা এমব্রয়ডারি কিন্তু এখন একেবারেই চলছে না। সুন্দর হ্যান্ডলুমের শাড়ির জমিটা একটা রং হল, পাড়টা তার সঙ্গে অন্য রঙের কম্বিনেশন। বা আঁচলটা অন্য একটা রং। এই শাড়িগুলোই এখন চলছে।
আর যেটা চলছে সেটা হল গামছা প্রিন্ট। এই প্রিন্টের শাড়ি, কটন ড্রেস বা স্কার্ট গরমের জন্য খুব ভাল। এ ছাড়াও পালাজোর সঙ্গে লং বা শর্ট কুর্তা দুটোই পরতে পারেন। তেমনই সং স্কার্টের সঙ্গেও কিন্তু লং বা শর্ট কুর্তা দুটোই চলছে। আর চলছে হোয়াইট শর্ট ড্রেস। কলার দেওয়া শার্টের মতো যেই ড্রেসগুলো।
গরমে কিন্তু অফ শোল্ডার খুব ফ্যাশনেবল। পুরোটা অফ শোল্ডার নয়, হাফ অফ শোল্ডার। মানে একটা দিকে স্লিভ থাকে, আরেকটা দিক কাঁধের থেকে নেমে যাবে এই ধরনের টপ এখন ট্রেন্ড করছে। এ ছাড়াও কাট অ্যাওয়ে স্লিভও চলছে। এই ধরনের স্লিভে কাঁধ থেকে যেখানে হাত নামছে শুধু সেখানটায় একটা কাট থাকে।
যেই দুটো রং এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে সেই দুটো হল হলুদ আর খাঁকি। কিন্তু পয়লা বৈশাখে তো সবাই একটু উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে চাইবেন। তাই হলুদ, কমলা, পিচ বা পিঙ্ক পরতে পারেন। এ ছাড়াও খয়েরি, রাস্ট বা ব্রিক রেডের মতো আর্দি বা রাস্টিক শেডগুলোও কিন্তু ফ্যাশনে রয়েছে। ব্লু-এর শেডের মধ্যে ইন্ডিগো খুবই ইন এখন। এক রঙের পোশাক যেমন পরতে পারেন তেমনই স্ট্রাইপ বা বিভিন্ন রকম প্রিন্টও কিন্তু স্টাইলিশ লাগবে দেখতে। সাদা-নীলের স্ট্রাইপ বা ইন্ডিগো প্রিন্ট বেশ ফ্যাশনেবল এখন। তবে বেশি কিছু যেন না থাকে পোশাকে। এখন সুন্দর কাট আর সুন্দর রং বা প্রিন্ট। এটাই এখন ফ্যাশন। আর ফ্যাব্রিকটাও হওয়া চাই কটন, লিনেন বা জুটের মতো হালকা, স্টাইলিশ ও আরামদায়ক।
ছেলেরা যদি পয়লা বৈশাখের দিন একটু ট্রাডিশনাল সাজতে চান তা হলে ধুতি-কুর্তা পরতে পারেন। যদি ধুতি পরার ঝক্কি না নিতে চান তা হলে রেডিমেড ধোতি প্যান্টের সঙ্গে কুর্তা পরুন। এক রঙের ধুতির সঙ্গের প্রিন্টেড কুর্তা বা প্রিন্টেড ধুতির সঙ্গে এক রঙের কুর্তা দুটোই পরতে পারেন। যে কোনও আর্দি কালার, হ্যাপি কালার যেগুলোকে বলে যেমন উজ্জ্বল হলুদ, কমলা বা ইন্ডিগো, জিওমেট্রিক প্রিন্ট দেখতে ভাল লাগবে। সঙ্গে ম্যাচ করে একটা মোজরি বা কোলাপুরি, অথবা লেদারের কোনও চটি পরে নিলেন।