সম্পাদক সমীপেষু: ব্যাঙ্ক ও নগদ

গ্রাহক সাধারণ আজকাল মনে হয় অতিরিক্ত এটিএম-নির্ভর হয়ে পড়েছেন। ৫/৬টা এটিএম ঘুরে তাঁরা যে সময়টা ব্যয় করছেন, তত ক্ষণে কোনও ব্যাঙ্কে গেলে নগদ পেয়ে যেতেই পারেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৮ ০৯:০১
Share:

‘কর্তারা শিখেন নাই’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে (২০-৪) নগদশূন্যতার আশঙ্কার সমস্যাটি সঠিক ভাবে তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ। তবে এক জন দীর্ঘ দিনের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সংযোজন করতে চাই।

Advertisement

১) গ্রাহক সাধারণ আজকাল মনে হয় অতিরিক্ত এটিএম-নির্ভর হয়ে পড়েছেন। ৫/৬টা এটিএম ঘুরে তাঁরা যে সময়টা ব্যয় করছেন, তত ক্ষণে কোনও ব্যাঙ্কে গেলে নগদ পেয়ে যেতেই পারেন। গ্রামীণ শাখা বাদে সব মাঝারি ও বড় ব্র্যাঞ্চগুলোতে ক্যাশ-এর তেমন সমস্যা এই মুহূর্তে নেই। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরও এ বিষয়ে যত দূর সম্ভব সজাগ থাকা দরকার।

২) সমস্ত লেনদেন নগদে না করে যেখানে সম্ভব চেক দেওয়া বা NEFT/RTGS-এ করতেই পারেন। এতে নগদজনিত চুরি ছিনতাইয়ের ঝক্কিও এড়ানো যাবে। আবার এই লেনদেনের প্রমাণ ভবিষ্যতেও পাবেন (চিরকাল রেকর্ড থেকে যায়) যা নগদের ক্ষেত্রে থাকে না। ইউটিলিটি বিলগুলি ও ইনশিয়োরেন্সের প্রিমিয়াম ইত্যাদি, নগদে না দেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

Advertisement

৩) হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের বিলও এ ভাবেই মেটাতে পারেন। যদিও তাঁরা অনেক সময় খুশি মনে নিতে চাইবেন না, কিন্তু যত দূর জানি, ‘ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ‘না’ বলার জায়গা নেই।

সবশেষে বলি, সমস্যাটা নেহাতই সাময়িক, ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের হাতে ক্যাশ প্রচুর রয়েছে এবং নোট ছাপানোও অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই গুজবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ দেখি না।

সাধন মুখোপাধ্যায় অরবিন্দ নগর, বাঁকুড়া

রক্তের অভাব

সামনেই আবার এক নির্বাচন আসন্নপ্রায়। সঙ্গেই আসছে তীব্র দাবদাহ। অভিজ্ঞতা বলে, এই গরমে যেমন জলের চাহিদা বাড়ে তেমনই বাড়ে রোগব্যাধির প্রকোপজনিত কারণে রক্তের চাহিদা। ডেঙ্গি জাতীয় রোগের কথা বাদ দিলেও, অন্য রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফলত রক্তের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই এ সময়ে রক্তের জোগানও সাময়িক ভাবে কমে যায়। অথচ নির্বাচনী বিধিনিষেধের কারণে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের উদ্যোগ করতে পারেন না অনেক সংস্থাই, কেননা যাঁরা এ ভাবে রক্ত সংগ্রহের উদ্যোগ করেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোনও না কোনও রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন।

ফলত নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট মহলে আতঙ্ক শুরু হয়ে যায় থ্যালাসেমিয়া জাতীয় রোগীদের, যাঁদের নির্দিষ্ট সময় রক্ত না দিলে বাঁচানোই যায় না। মানবিকতার কারণে শর্তসাপেক্ষে বিধিনিষেধ কিঞ্চিৎ শিথিল করে রক্তদান শিবিরকে কি নির্বাচনী বিধিনিষেধের আওতা থেকে বাদ দেওয়া যায় না?

দেবব্রত রায় রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

আজ যিনি

জনগণের সেবার জন্য রাজনৈতিক দলের আগ্রহ দেখলে এখন আমদের দুশ্চিন্তা বাড়ে। আজ যাঁকে নির্বাচিত করলাম কাল তিনি এই দলে থাকবেন তো? না কি কোনও প্রলোভনে অন্য দলে চলে যাবেন? মনে হয়, তাঁরা দু’টি কারণে যান। প্রথমত, কোনও আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য। দ্বিতীয়ত, কোনও অপরাধের জন্য পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে।

যদি তাঁরা জনসেবা করবার জন্য রাজনীতিতে আসেন তা হলে তাঁদের হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা চাইতে হবে কেন? তাঁকে যদি এলাকার মানুষ আগে কখনও জনসেবা করতে দেখেন তা হলে তিনি এমনিই জিতবেন। অথবা, যদি প্রকৃত উন্নয়ন হয়ে থাকে তা হলে জনগণ তাঁকেই পুনরায় নির্বাচিত করবেন। আর তাতে যদি আশঙ্কা থাকে, তা হলে তিনি কোনও আশ্রম বা প্রতিষ্ঠান থেকে দীক্ষা নিয়ে সেবা শুরু করতে পারেন। তা না করে তাঁরা জনসেবার নাম করে ব্যক্তিস্বার্থে দল বদল করে যে কোনও দলের কর্মী ও সমর্থকদের মনে আঘাত করেন।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দল বদল আটকানোর জন্য কিছু আইন করা দরকার। তাঁরা ভাতা ও অন্য বহু সুযোগ-সুবিধা পান। সেই ভাতা তাঁর অ্যাকাউন্টে না দিয়ে তা সরাসরি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের অ্যাকাউন্টে দিলে, তিনি দলে থাকলে দল তাকে সেই ভাতা দেবে। তখন তিনি দল বদলের আগে এক বার ভাববেন। আর যদি তাঁর সেবার মনোভাব থাকে, তা হলে তিনি ভাতা না নিয়ে দল বদল করে বীরত্ব দেখাতে পারবেন।

অতনু মিত্র অরবিন্দনগর, পশ্চিম মেদিনীপুর

কুকুর

‘পিৎজা পৌঁছে মিলল কুকুরের কামড়’ (২০-৪) শীর্ষক সংবাদ ‘বড় বেদনার মতো বেজেছে’। দুঃখের বিষয়, যাঁরা নিজের শখ পূরণে বা নিজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কুকুর পোষেন, তাঁরা অনেকেই প্রতিবেশীদের সুবিধা-অসুবিধা বা নিরাপত্তার প্রশ্নটি বিবেচনা করেন না। কোনও বাড়িতে গিয়ে বিশালকায় কুকুরের সম্মুখীন হলে, ভীত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ সব কুকুরের মালিকে দেখা যায় তখন বেশ আমোদিত হতে। কয়েক বছর আগে আমাদের এলাকার এক প্রাক্তন পুর প্রতিনিধির বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে এক ব্যক্তি, সে-বাড়ির পোষা কুকুরের কামড়ে আহত হন। অথচ তার পরেও, তাঁর বাড়ির চেম্বারে গেলে, লম্বা হয়ে শুয়ে থাকা ওই চেন-খোলা কুকুরটিকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে বসতে হত চেয়ারে। সাক্ষাৎপ্রার্থীর অস্বস্তি সত্ত্বেও কুকুরটিকে কখনও সরানো হত না।

অনেকে আবার পোষা কুকুরকে নিয়ে প্রতি দিন রাস্তায় বার হন মলমূত্র করাতে। এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি, তাঁরা প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে বা দেওয়ালের গায়ে নিজের কুকুরের মলমূত্র ত্যাগের ব্যবস্থা করেন নির্বিকার ভাবে। বিদেশে কুকুরের মালিকরা গ্লাভস পরে নিজের হাতে নিজের পোষ্যের মল রাস্তা বা প্রকাশ্য স্থান থেকে তুলে বিন-এ ফেলেন। আমাদের দেশের পশুপ্রেমীরা কিন্তু সচেতন ভাবে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চান।

রত্না রায় কলকতা-৪৭

প্লাস্টিক

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরে মহকুমা শাসকের অফিস চত্বর, স্কুল, মন্দির এলাকা-সহ বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিক-ফ্রি জোন বা প্লাস্টিক মুক্ত এলাকার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। শুভ উদ্যোগ সন্দেহ নেই। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে এ রকম বিজ্ঞপ্তি কোনও কাজে আসবে না। আসেওনি। সর্বত্র প্লাস্টিক আর থার্মোকলের ছড়াছড়ি। বাজারে মাছ, মাংস থেকে সব্জি, মুদি দোকান থেকে মনোহারি দোকান সর্বত্র কাগজের ঠোঙার পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যবহার। সেই সব প্লাস্টিক যাবে কোথায়? যদিও সারা শহর জুড়ে ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। কিন্তু মানুষের সচেতনতা তৈরি হয়নি। চা এবং ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোতে প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের অপর্যাপ্ত ব্যবহার এবং তা যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার ফলে ড্রেনগুলোতে জল আটকে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেন থেকে জল উঠে আসছে রাস্তায়।

কৃষ্ণা কারফা বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া

সংক্রামক

অমিতাভ চক্রবর্তীর চিঠি ‘সংক্রামক হলে?’ (সম্পাদক সমীপেষু, ১০-৪) বিষয়ে বলি, আদ্যাপীঠ এমন একটি ধর্মীয় ও সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান, যাদের পরিচালনায় যতগুলি অ্যাম্বুল্যান্স আছে, সেখানে ‘সংক্রামক রোগীর জন্য নহে’ উল্লেখ নেই। ফলে সংক্রামক রোগীরা মর্যাদার সঙ্গে, সামান্য মূল্যের বিনিময়ে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন।

দীপক কুমার মুখোপাধ্যায় কলকাতা-৯

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন