দিল্লি ডায়েরি

মহারাষ্ট্রের পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম হলেও তিনি ‘গুড বয়’-এর মতো বহু হিট তেলুগু ছবির নায়িকা।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০০:১০
Share:

রুপোলি পর্দা থেকে লোকসভায় নবনীত

Advertisement

হেমামালিনী, কিরণ খের, শতাব্দী রায় তো ছিলেনই। এ বার রুপোলি পর্দা থেকে লোকসভায় এসেছেন মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, কর্নাটকের সুমালতা-র মতো অভিনেত্রীরা। সেই তুলনায় প্রচারের আলো পাননি অমরাবতীর নবনীত কৌর। মহারাষ্ট্রের পঞ্জাবি পরিবারে জন্ম হলেও তিনি ‘গুড বয়’-এর মতো বহু হিট তেলুগু ছবির নায়িকা। অভিনয় করেছেন ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’-এর মতো মালয়ালম হিট ছবিতেও। এ বার মহারাষ্ট্রের অমরাবতী থেকে পাঁচ বারের শিবসেনা সাংসদ আনন্দরাও আদসুলকে হারিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লোকসভায় এসেছেন তিনি। কিন্তু কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা নিয়ে বিতর্কে ফৌজি-অফিসারের কন্যা বিজেপি-শিবসেনারই পাশে। অন্ধ্রের সাংসদরা তাঁকে কটাক্ষ করলে ইংরেজি ছেড়ে খাঁটি তেলুগুতে ধমক দিয়ে তাঁদের থামিয়ে দিয়েছেন নবনীত।

তালাবন্ধ

Advertisement

লখিন্দরের বাসরঘরের মতোই অর্থ মন্ত্রককে একেবারে নিশ্ছিদ্র করে তুলতে চাইছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটের পর থেকেই তিনি অর্থ মন্ত্রকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। তাঁর নৈশভোজ বয়কট হলেও তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। এ বার নর্থ ব্লকের দোতলায় অর্থমন্ত্রীর ঘরের সামনে বসেছে ছোট ছোট লকারওয়ালা দেরাজের সারি। বাইরের কেউ অর্থমন্ত্রীর ঘরে ঢুকলে তাঁকে নিজের মোবাইল বা অন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ওই লকারে রেখে তালা দিয়ে যেতে হবে। ভিতরে নিয়ে যাওয়া যাবে শুধু লকারের চাবিটি। কাজ শেষে ফিরে নিজেই চাবি খুলে মোবাইল ফেরত নেওয়া যাবে। মন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা যাতে কেউ গোপনে রেকর্ড করতে না পারে, সেই জন্যই নাকি এমন ব্যবস্থা!

কাগজ নয়

সংসদে কাজ চলবে কাগজ ছাড়াই। অনেক দিন ধরেই তার চেষ্টাচরিত্র চলছে। এ বার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও সে কথা বলেছেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শুরু করেছেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ও বিজেপির বিনয় সহস্রবুদ্ধের সামনে আসনের সঙ্গেই লাগানো আইপ্যাডের মতো যন্ত্র বসেছে। সেখানে বোতাম টিপলেই মিলছে যাবতীয় নথি, বিলের খসড়া, কর্মসূচি। আপাতত পরীক্ষার স্তরে থাকলেও, আগামী দিনে সব সাংসদের জন্যই এমন ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা চলছে।

অপয়া নয় তো?

এ বাড়িতে আগে কে থাকতেন? তিনি কি ভোটে হেরে গিয়েছেন? বাড়িটা অপয়া নয় তো? লোকসভায় এ বার আড়াইশোর বেশি নতুন সাংসদ জিতে এসেছেন। সিংহভাগই বিজেপির। অনেকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার জিতে এসেছেন। যে যত বার জিতে আসেন, তাঁর জন্য তত বড় ফ্ল্যাট বা বাংলো বরাদ্দ হবে। দ্বিতীয়, তৃতীয় বার জিতে আসা বিজেপি সাংসদরা এ বার তাই বড় বাংলোর আশায় রয়েছেন। আর নতুনরা কোন ফ্ল্যাট মেলে তার অপেক্ষায়। কিন্তু গৃহপ্রবেশের আগে সকলেই দেখে নিতে চান, সেই বাড়ির আগের মালিক ভোটে হেরে যাননি তো? অপয়া ফ্ল্যাট-বাংলো নিতে সবাই নারাজ। নেহাত নিতে বাধ্য হলে শান্তি-যজ্ঞই একমাত্র উপায়।

অন্য রূপে

কাশ্মীরের মহারাজা গভীর চিন্তায়। ভারতের সেনা ঠিক সময়ে শ্রীনগরে এসে পৌঁছবে তো? যে কোনও সময় পাকিস্তান কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে। কারণ কাশ্মীরের মহারাজা ভারতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে বরফ সরানোর কাজ চলছে, যাতে সেনার বিমান নামতে কোনও সমস্যা না হয়। দিনটা ছিল ২৭ অক্টোবর, ১৯৪৭। ফার্স্ট শিখ রেজিমেন্টের সতেরো জন জওয়ানকে নিয়ে ভোরবেলা শ্রীনগরে নামল ডাকোটা ডিসি-৩ বিমান। বিমানের পাইলট জানতেন না, ইতিমধ্যেই পাক সেনা শ্রীনগর বিমানবন্দর দখল করে নিয়েছে কি না। তাই খুব নিচুতে উড়ে এসেছিলেন। শিখ রেজিমেন্টের জওয়ানরা দ্রুত শ্রীনগর বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিলেন। কাশ্মীরে ঢোকার আর সমস্ত রাস্তা বন্ধ। তাই ভারতীয় সেনার পৌঁছনো নিশ্চিত করতে শ্রীনগর বিমানবন্দর দখলে থাকা জরুরি। সংসদে কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্কে জানা গেল, সেই বিমানের পাইলট ছিলেন বিজু পট্টনায়ক। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন