Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: দিল্লির বন্ধুদের স্মৃতিতে কেকে-র ‘দোস্তি’

অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে নিয়ে বই লিখে বিখ্যাত গৌতম চিকরমানে এখন অবজ়ার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায় এবং অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ ০৫:০৮
Share:

কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভার ছেলে নিখিল কিছু দিন আগে পর্যন্তও রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্টের দায়িত্বে ছিলেন। অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে নিয়ে বই লিখে বিখ্যাত গৌতম চিকরমানে এখন অবজ়ার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ১৯৮৯-এ নিখিল, চিকরমানে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ায় পিয়ংইয়্যাংয়ে। বিশ্ব যুব উৎসবে। দিল্লির কিরোড়ীমল কলেজের গানের ব্যান্ড ‘হরাইজ়ন’-এর সদস্য হিসেবে। চিকরমানে থাকতেন কি বোর্ডে। সেই ব্যান্ডের ড্রামার ও অন্যতম গায়ক ছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের সেন্ট মেরি’জ় স্কুলেই শৈশব কাটানো কৃষ্ণকুমার তখন থেকেই ‘কেকে’ হিসেবে পরিচিত। কেকে-র অকালে চলে যাওয়ায় দিল্লির স্মৃতিচারণে ঘুরে ফিরে এল উত্তর কোরিয়ার পুরনো কাহিনি।

Advertisement

বন্ধুত্ব: উত্তর কোরিয়ায় ব্যান্ডের বন্ধুদের সঙ্গে সদ্যপ্রয়াত গায়ক কেকে (ডান দিকে)

বাড়ির প্রতি বড় মায়া!

“বাড়ির উপর তার যে ছিল কি টান/ মুখের মতোই রাখত পরিপাটি...।” শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে বলা যায়, দীর্ঘ দিন বসবাস করা বাড়ির উপরেও মায়া যাওয়ার নয়। প্রবীণ সমাজবাদী নেতা শরদ যাদবের ৭ তুঘলক রোডের বাংলোটি ছাড়ার সময় এসেছে। সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেও বহু বছর ধরে রেখেছিলেন। আদালত বলেছে, আর নয়। বিষাদগ্রস্ত স্ত্রী রেখা যাদব। দু’দশকেরও বেশি সময় কেটেছে এখানে। বললেন, বাগানের গাছের বীজ ও চারা কী ভাবে খুঁজে এনে লাগিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “এলাকার সবুজতম বাংলো। এই বাড়ির সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম। স্বামীর টান আরও বেশি। আমার বিশ্বাস, উনি ফিরে আসবেন এখানে।”

Advertisement

ঝড়ের রাতে

সোমবার সরকারের আট বছর উপলক্ষে দলীয় দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলাপচারিতায় বসেছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, জে পি নড্ডারা। তখন দিল্লির রাজপথ দিয়ে বয়ে গেল একশো কিলোমিটার গতির ঝড়। লাটিয়েন্স দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় উপড়ে পড়ল গাছ, ল্যাম্পপোস্ট। ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার। রাস্তা কার্যত থমকে গেল। আর পাঁচ জন মানুষের মতো পায়ে হেঁটে বাড়ি-দলীয় দফতরে ফিরতে হল নেতাদেরও। সন্ধ্যা ছ’টায় বিজেপির বৈঠক ভাঙলেও, রাত সাড়ে ন’টায় অশোক রোডে দলের পুরনো কার্যালয়ে হেঁটে ফিরলেন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। আটকে পড়লেন কংগ্রেস নেতারাও। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক ছিল ঝাড়খণ্ডের নেতা অবিনাশ পান্ডের। সব রাস্তা বন্ধ। গোটা জনপথ রোড ধরে হেঁটে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে পৌঁছন অবিনাশ।

যোগ দিবসের প্রস্তুতি

আসছে বিশ্ব যোগ দিবস (২১ জুন)। সমস্ত মন্ত্রকে ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। আনফিট থাকা চলবে না মন্ত্রী, আমলাদের। আয়ুষ মন্ত্রক সমস্ত মন্ত্রককে চাঙ্গা করার দায়িত্বে। সবচেয়ে ‘ফিট’ ভূপেন্দ্র যাদব। পরিবেশ এবং শ্রমমন্ত্রক তাঁর অধীনে। সকালে অফিস শুরুর আগে তিনি তাঁর দুই মন্ত্রকের কর্মীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা দিনে যোগব্যায়ামের পরিকল্পনা করলেন। যা ‘ফিটনেস টেস্ট’ও বটে। পরিবেশ মন্ত্রকের সদর দফতরে মন্ত্রকের দু’শো অফিসারের সঙ্গে মাটিতে মাদুর পেতে যোগব্যায়াম করলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছিলেন মন্ত্রকের ফিল্ড অফিসাররা। অন্য দিনে শ্রম মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে এই একই অনুশীলনের পুনরাবৃত্তি করেছেন ভূপেন্দ্র।

বিচারপতির বহু গুণ

রঞ্জি ট্রফিতে রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। থিয়েটার করতেন। পুলিশ সেজে দিলীপকুমার, নূতন, সঞ্জয় দত্ত, কাদের খানের সঙ্গে সিনেমাও করেছেন। ১৯৮৯-এর ছবিটির নাম কানুন আপনা আপনা। শেষে ক্রিকেট, অভিনয় ছেড়ে হয়ে গেলেন আইনজীবী। পরবর্তী কালে একেবারে দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি। সদ্য অবসর নিলেন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও। বিদায় সংবর্ধনায় সকলে স্বীকার করলেন, একই অঙ্গে এমন বহু রূপ সহজে মেলে না।

শিল্পী: সিনেমায় লাঠি হাতে পুলিশ বেশে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও

অমেঠীর দিলীপ ঘোষ

কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চুপ করে থাকার নির্দেশ দিয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তবে, বলিয়ে-কইয়ে দিলীপ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে রীতিমতো ‘টাফ’ নেতাই বলেই পরিচিত। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ঘরোয়া আলাপচারিতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বললেন, “আপনি পশ্চিমবঙ্গের দিলীপ ঘোষ। আর আমি অমেঠীর দিলীপ ঘোষ।” লোকসভা নির্বাচনে অমেঠী কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধীকে হারিয়েছিলেন স্মৃতি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন