Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: সবচেয়ে সিনিয়র সাংসদের সঙ্গে সেলফি

সংসদ চত্বরে তো বটেই, নতুন লোকসভার ভিতরে যে পারছেন সেলফি তুলছেন। কখনও একা, কখনও বা সদলবলে।

Advertisement

অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩ ০৬:৩৫
Share:

দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।

সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধন যেন সেলফি-মেলা। সংসদ চত্বরে তো বটেই, নতুন লোকসভার ভিতরে যে পারছেন সেলফি তুলছেন। কখনও একা, কখনও বা সদলবলে। অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দফায় দফায় ছবি তুলতে দেখা গেল বিজেপির নেতা সাংসদদের। তবে এর মধ্যে বরুণ গান্ধীর টুইট করা ছবিটি কিছুটা ব্যতিক্রম। বিজেপি সাংসদ তথা তাঁর মা মেনকা গান্ধীর সঙ্গে বরুণ তুলেছেন সেলফি! সঙ্গে লিখেছেন, “আমাদের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি এক ফাঁকে এই লোকসভার সবচেয়ে সিনিয়র সাংসদের কাছে অনুমতি চাইলাম এক সঙ্গে কয়েকটা সেলফি তোলার জন্য!”

Advertisement

সংবিধানই সর্বাগ্রে

গত কয়েক বছর যাবৎ বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীর আচরণে বেজায় ক্ষুব্ধ অন্য বিরোধী নেতারা। তাঁদের সম্মিলিত মত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গুঁতোয় কার্যত বিজেপির বি টিম-এর মতো আচরণ করছে বিএসপি। অন্য বিরোধী দলগুলি বয়কট করলেও সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনে দেখা গেল সব বিএসপি সাংসদকে। বাদ মাত্র এক জন, তিনি আমরোহার সাংসদ কুনওয়ার দানিশ আলি। জানা গেল, তিনিও নাকি মনে করছেন যে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুরই এই ভবন উদ্বোধন করা উচিত ছিল। তাই দল চাপ দিলেও নিজের মতে অটল দানিশ। পরে টুইটও করেছেন, “জয় সংবিধান, জয় ভীম”। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন, “সংবিধানই সর্বাগ্রে”। এই প্রথম যে দলের মধ্যে বিপ্লব করলেন তিনি, তা নয়। কয়েক দিন আগে দানিশের টুইট, “দেশে বিরোধী ঐক্যের এখন যা প্রয়োজন, এমনটা আগে কখনও হয়নি।” যদিও তাঁর দল বিএসপিকে বিজেপি-বিরোধিতার ধারেকাছে দেখতে পাওয়াযাচ্ছে না!

Advertisement

নিজস্বী: মেনকা গান্ধীর সঙ্গে পুত্র বরুণ গান্ধী। ২৮ মে, নয়াদিল্লি। ছবি: পিটিআই।

আমেরিকা থেকেই

মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে পারিবারিক কাজে নিউ ইয়র্কে ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু ঢেঁকি আমেরিকা গেলেও ধান ভানে! সময়ের ব্যবধানের কারণে কার্যত বিনিদ্র রজনী কাটাতে হয়েছে তাঁকে। ভারতে রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, বিশেষ করে তাঁর দলের, যখন তুঙ্গে, তখন আমেরিকায় রাতদুপুর! কুস্তিগিররা ধর্নায় বসেছেন, তৃণমূল প্রতিনিধি দল যাবেন। কর্নাটকে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর শপথ, যাবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিহাড়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে বিমান ধরছেন দোলা সেন। নেত্রীর নির্দেশে ঘণ্টায় ঘণ্টায় সে সবের চূড়ান্ত প্রস্তুতির ব্যবস্থা করা, দলের সংশ্লিষ্ট নেতা সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজ সামলেছেন আমেরিকায় বসে। কখনও হোয়াটসঅ্যাপ কলে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক সম্মেলন, সেখানকার সময় মধ্যরাতে। আজকের প্রযুক্তি-ব্যবস্থায় যোগাযোগের প্রশ্নে, হাডসন নদী আর হরিনাভির পুকুরের মধ্যে ফারাকটাই বা কী!

স্বকণ্ঠে প্রচার

জনসংযোগে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বরাবরই উৎসাহী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন সংসদ ভবনের ভিডিয়ো টুইট করে তিনি তাঁর ফলোয়ারদের আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই ভিডিয়ো নিজেদের ভয়েসওভার দিয়ে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে দিতে। কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তা শেয়ার করেন ঠিকই, কিন্তু ভয়েসওভার ছাড়াই। এই নির্মাণের প্রধান কারিগর নগরোন্নয়ন এবং আবাসন মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীই একমাত্র ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন নিজের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে। সেখানে তিনি ভবনটিকে বর্ণনা করেছেন ‘অমৃতকালের অভ্রংলিহ’ বলে।

ব্যতিক্রম: হরদীপ সিংহ পুরী। —ফাইল ছবি।

জরুরি সার্কাস

নিত্যনতুন বিনোদন এসে ক্রমশই পিছনে ঠেলে দিচ্ছে সার্কাসকে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। সম্প্রতি দিল্লিতে আয়োজিত হল আন্তর্জাতিক সার্কাস উৎসব। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই চিন্তা ব্যক্ত করেছেন নকভি। বলেছেন, সার্কাসের সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন