উদ্বেগ ছিল, টাকার চাহিদা ও জোগানের অঙ্ক ব্যাঙ্ক খোলার পর যথাযথ থাকবে কি না!—নিজস্ব চিত্র।
পাঁচশো হাজারের নোট অচল হওয়ার পর প্রথম ব্যাঙ্কিং দিনটা ভালয়মন্দয় শেষ পর্যন্ত উতরে গেল।
কিছু জায়গায় অভিযোগ, কিছু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, কিছু হয়রানি সত্ত্বেও এই বৃহত্ কর্মকাণ্ডে ভারতীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত উত্তীর্ণই হল। বিপুল এই দেশে অকস্মাত্ কিছু মুদ্রা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর যে ‘অরাজক’ পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকে, উত্তর অথবা দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিম— কোনও প্রান্ত থেকেই সে রকম কোনও খবর এল না। তার প্রধান কারণ, এ রাষ্ট্রের পরিণত ব্যবস্থাই। নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর, আতঙ্কের একটা প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল দৈনন্দিন জীবন ও জীবিকা সচল রাখার ক্ষেত্রে তা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াল না।
উদ্বেগ ছিল, টাকার চাহিদা ও জোগানের অঙ্ক ব্যাঙ্ক খোলার পর যথাযথ থাকবে কি না! দিনের শেষে বলাটা অসঙ্গত হবে না, মূলত নির্বিঘ্নেই প্রথম দিনের এই পর্ব পেরিয়ে আসা গেল। এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা যে কোনও দেশ, যে কোনও ব্যবস্থার পক্ষেই চ্যালেঞ্জের। বোঝাই যাচ্ছে বেশ কিছু কালের যথাযোগ্য প্রস্তুতি ব্যতিরেকে এই ভাবে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব ছিল না। তাও আবার চূড়ান্ত গোপনতা বজায় রেখে।
আগামী দিনগুলো সমান ভাবে চ্যালেঞ্জিং থাকবে। কিন্তু, প্রথম দিনটা অন্তত ইঙ্গিত দিয়ে গেল, আমাদের ক্ষমতা এবং পরিণত ব্যবস্থার।
লম্বা একটা কুর্নিশ প্রাপ্য এই দেশ, এই ব্যবস্থা, সবচেয়ে বড় কথা এই দেশের মানুষের।