Coronavirus

নিউ জার্সিতে খাদ্য সঙ্কট, ভয়াবহ পরিস্থিতি বেঙ্গালুরুতে

এই লকডাউন পরিস্থিতিতে পাঠকদের থেকে তাঁদের অবস্থার কথা, তাঁদের চারপাশের অবস্থার কথা জানতে চাইছি আমরা। সেই সূত্রেই নানান ধরনের সমস্যা পাঠকরা লিখে জানাচ্ছেন। পাঠাচ্ছেন অন্যান্য খবরাখবরও। সমস্যায় পড়া মানুষদের কথা সরকার, প্রশাসন, এবং অবশ্যই আমাদের সব পাঠকের সামনে তুলে ধরতে আমরা মনোনীত লেখাগুলি প্রকাশ করছি।খুব শীঘ্রই এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে আমরা সকলেই বেরিয়ে আসব, আশা করছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৪৫
Share:

করোনার করাল গ্রাসে আমেরিকা। ছবি: এএফপি।

সহায়সম্বলহীন মনে হচ্ছে নিজেকে

Advertisement

কোনও দিন ভাবিনি জীবনে এ রকম একটা বিভীষিকার মুখোমুখি হব। ৯/১১ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলা, ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আগে কখনও এতটা সহায়সম্বলহীন মনে হয়নি নিজেকে। গত তিন বছর ধরে কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে রয়েছি। এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাজারে অমিল। যা পাওয়া যাচ্ছে তা চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। হাওড়ায় সর্ব ক্ষণ আমাকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন বৃদ্ধা মা। আমার মেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায়। এই মুহূর্তে সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি। মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে।

মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

খুব শীঘ্রই এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা

প্রায় পাঁচ মাস দেশ ছাড়া আমি। স্বামীর সঙ্গে নিউ জার্সিতে আছি। সঙ্গে আমার পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে । একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। নিজেদের নিয়ে চিন্তা তো আছেই, সেই সঙ্গে দেশে থাকা বাবা-মা, ভাই-বোনদের নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত। ২০ দিন হল ছেলের স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বামী বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। হেঁশেলের অবস্থাও তথৈবচ। বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা স্টোর রয়েছে। সেখানে খাবার প্রায় আউট অব স্টক। অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিস প্রায় বন্ধ। এ ভাবে কত দিন চলবে, ভেবেই উদ্বেগে রয়েছি। আশা করি, খুব শীঘ্রই এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে আমরা সকলেই বেরিয়ে আসব।

অনন্যা সেনগুপ্ত
জার্সি সিটি, নিউ জার্সি

বিনামূল্যে রেশন

সারা পশ্চিমবঙ্গে রেশনের চাল ও গম বিতরণ নিয়ে একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ একটাই। সরকার বিনামূল্যে রেশনের চাল ও গম বিতরণ ঘোষণা করলেও অনেকেই জানেন না কোন কার্ডে কত পরিমাণ দেওয়া হবে। সরকার সঠিক পরিমাণে দিলেও সাধারণ গরিব মানুষ তা পাচ্ছেন না। পরবির্তে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এতে উপকৃত হচ্ছেন।

সুশান্ত কুমার ঘোষ
খঞ্জনপুর, বিরভূম

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন