Kanak Durga

সম্পাদক সমীপেষু: চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ০৬:২৭
Share:

সম্প্রতি ঘুরে এলাম ঝাড়গ্রাম থেকে। শহর থেকে চিল্কিগড়ের দূরত্ব মেরেকেটে ১৫ কিলোমিটার। এখানকার কনকদুর্গা মন্দির অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। গাড়ি রাখার জায়গা থেকে দু’দিকে ঘন গাছে ছাওয়া রাস্তা দিয়ে বেশ খানিকটা হেঁটে মন্দিরে পৌঁছতে হয়। প্রবেশমূল্য দিয়ে তবে মন্দির ও পিছনের ডুলুং নদীতে যাওয়া যায়। নিঃসন্দেহে জায়গাটি সাজানো, মোটামুটি পরিচ্ছন্নও। তবে পুরনো দেউলটি যে ভাবে ভগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে, তা দেখে কষ্ট হয়। এই মন্দিরটি প্রায় ভেঙে পড়ছে। পাশের ঝাঁ-চকচকে নতুন মন্দিরটির পাশে বড্ড বেমানান। ইতিহাস-সমৃদ্ধ দেউলটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক, এই অনুরোধ জানাচ্ছি।

Advertisement

ডুলুং নদীতে নামার রাস্তাটিও বিশেষ সুবিধের নয়। নদীর পাড়ে নামার সিঁড়িগুলি ভেঙে বিপজ্জনক হয়ে আছে। ডুলুংয়ে এই মার্চ মাসেই জল নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে, স্থানীয়রা স্নান, কাচাকাচি করে দৃশ্যদূষণ ঘটাচ্ছেন। এবং এই পুরো জায়গাটিতে প্রচণ্ড হনুমানের উপদ্রব। হাতে কোনও খাবার নিয়ে ঢোকার উপায় নেই। ঝাড়গ্রামের জনপ্রিয় এই স্পটগুলিতে প্রচুর পর্যটক আসেন। কলকাতা থেকে তো বটেই, ঝাড়গ্রামের চার পাশের রাস্তাঘাটও নতুন ও ঝকঝকে। একই সঙ্গে এই আপাত তুচ্ছ বিষয়গুলির দিকে একটু নজর দিলে পর্যটনের শ্রীবৃদ্ধি হবে।

সমৃদ্ধি সরকার

Advertisement

কলকাতা-৩৩

তফাত

আমি ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, সংযুক্তিকরণের পর বর্তমানে পিএনবি, পাইকপাড়া শাখার এক গ্রাহক এবং এই ব্যাঙ্কের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। গত ৬ মার্চ আমি এই শাখায় একটি নতুন ফিক্সড ডিপোজ়িট করার জন্য আবেদন করি। সংশ্লিষ্ট ফর্ম ও চেক নির্দিষ্ট কর্মীর কাছে জমা দিই। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে ফিক্সড ডিপোজ়িটটি ওপেন করা হয়নি। আমি ১১ তারিখ আবার শাখায় যাই এবং জানতে পারি, তাঁরা কাজের চাপে করে উঠতে পারেননি। তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, আজ অবশ্যই কাজটি হয়ে যাবে। কিন্তু ১২ তারিখেও সেই ফিক্সড ডিপোজ়িটের আবেদন অবহেলায় পড়ে থেকেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করি, এই শাখায় এখন কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলেও করা যাচ্ছে না। নতুন চেকবুকের আবেদনের ফল জানা যাচ্ছে না। আবার নতুন চেকবুক না পেলে এপ্রিল মাস থেকে টাকা তোলা যাবে না। সম্প্রতি সরকারি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে দু’দিনের ধর্মঘট হয়েছে। আমি নিজে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে। কিন্তু ধর্মঘটের প্রথম দিন সকালে এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকেই ফোন পেলাম, “স্যর,অনুগ্রহ করে একটি ফিক্সড ডিপোজ়িট করুন। বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছি, আপনাকে কষ্ট করে আসতে হবে না।”

অরুণ চক্রবর্তী

কলকাতা-৩৭

ভোটার কার্ড

গত বছরের মাঝামাঝি বেড়াতে গিয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র হারিয়ে যায়। আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে বিধিসম্মত ভাবে হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমা অফিসের নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যালয়ে আবেদন করি উক্ত পরিচয়পত্রের ডুপ্লিকেটের জন্য। আমাকে দু’টি কার্ডের জন্য দু’টি রসিদ দেওয়া হয় এবং ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, মোটামুটি এক থেকে দু’মাসের মধ্যে কার্ড সরস্বতী প্রেস থেকে তৈরি হয়ে চলে আসবে। তখন আমাকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হবে। প্রতিটা কার্ডের জন্য ২৫ টাকা চার্জ দিতে হবে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমার এলাকায় আগামী ১০ এপ্রিল বিধানসভার নির্বাচন। এখনও কার্ড প্রাপ্তির কোনও খবর নেই।

দেবকী রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়

উত্তরপাড়া, হুগলি

অসামান্য প্রদর্শনী

এইচ বি টাউনের গোলপার্ক স্থানীয়ের কাছে পরিচিত মূলত রাজনৈতিক সম্মেলন, সেয়ানে সেয়ানে তরজা, এ পক্ষ-ও পক্ষ কাদা ছোড়াছুড়ি ইত্যাদি কারণে। নির্বাচনী প্রচার ও গোলপার্ক সমার্থক। ব্যতিক্রম যে হয় না, তা নয়। তবে তা খুবই কম। ফি বছর এখানে মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপিত হয়, মাঝেমধ্যে কোনও গিটারের তার আচমকা তোলে সুরের টঙ্কার।

তবে এ বছর যা হল, তা অভূতপূর্ব। গোটা গোলপার্ক ঘিরে একটি অসামান্য পথ প্রদর্শনী। সৌজন্যে, ‘পানিহাটি আর্টিস্ট ফোরাম।’ পথচারী থমকেছেন, কৌতূহলী হয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জিজ্ঞেস করেছেন, বিমূর্ত ছবির অর্থ। অন্ধকার বেদিতে যেখানে রোজ দেখা মেলে কিছু আধশোয়া কর্মহীনের, গত তিন দিন সেখানে আলোর রোশনাই। সার সার ছবি, ভাস্কর্য, বাহারি গাছের টব, শিল্পীদের আড্ডা, স্বর্গ থেকে নেমে আসা আমজাদ আলি খান, শিবকুমার শর্মার সুরমূর্ছনা। মেলবোর্ন, বার্সেলোনা, প্যারিস নয়, পানিহাটি। বছর বছর এমন প্রদর্শনী ফিরে আসুক, এই আশা রাখি।

আলোক রায়

কলকাতা-১১০

পাতালেই ভয়?

অনেক দিন হল, কলকাতায় বাস, ট্রাম, ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। এর কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে, এমন কোনও তথ্য এখনও সামনে আসেনি। মেট্রো রেল কি ব্যতিক্রমী? টোকেন চালু করার কথা বলেও কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে গেলেন। অথচ, শহরতলির ট্রেনের টিকিট আগের মতোই কাউন্টারে বিক্রি হচ্ছে। সেই সব রেল কর্মচারীর করোনা হওয়ার ভয় নেই? এখন পকেটে স্মার্টকার্ড না থাকলে, দু’শো টাকার বিনিময়ে একটি কার্ড কিনতে পাওয়া যাবে, যা দু’এক বার ব্যবহার শেষে জমা দিয়ে, বাকি টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। যাঁরা এত জটিলতায় যেতে চান না, তাঁরা ভিড় বাসে ওই দূরত্বটুকু পেরোচ্ছেন। বাড়ছে সংক্রমণের সম্ভবনা।

দেবাশিস মিত্র

কলকাতা-৭০

অপরিচ্ছন্ন

নদিয়ার কল্যাণীতে চালু হল এমস হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসার চাহিদা প্রচুর। আউটডোরে নাম লেখালে ডেট পাওয়া যাবে কমপক্ষে চার মাস পর। এই হাসপাতাল বেশ পরিচ্ছন্ন। কিন্তু চার পাশে পরিচ্ছন্নতা উধাও। পাঁচিলের ধারেই যত্রতত্র পড়ে আছে নোংরা আবর্জনা, প্লাস্টিক। সবচেয়ে দুরবস্থা যমুনার। হাসপাতালের পাঁচিলের ধার ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে যমুনা, যা হরিণঘাটা, কল্যাণী-সহ কয়েকটা পুরসভা ও অগণিত গ্রামকে রক্ষা করে বন্যার হাত থেকে। ফাল্গুন মাসেই সেই যমুনা শুকিয়ে একাকার। মূলত অনাব্যতার জন্যই এই অবস্থা। অদূর ভবিষ্যতে এই এলাকায় বড় ক্ষতি হতে পারে যমুনা সংস্কার না করলে। এলাকার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শুধুমাত্র একটা হাসপাতাল গড়লেই চলে না, চার পাশের পরিবেশ যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে, সেটা দেখাও প্রশাসনের কাজ।

সফিয়ার রহমান

অশোকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা

দ্রুত বিচার চাই

দীর্ঘ লকডাউন পর্ব থেকেই জানুয়ারির ২৮ তারিখ পর্যন্ত নিম্ন আদালতগুলি এভিডেন্স, শোকজ় বন্ধ রেখেছিল হাই কোর্টের নির্দেশে। এখন কোর্ট স্বাভাবিক হলেও শ্রীরামপুর উচ্চ আদালতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দীর্ঘ দিন মাননীয় বিচারক মহাশয় অনুপস্থিত থাকার জন্য বিশেষত ডিভোর্স-এর মামলাগুলির সুরাহা হচ্ছে না। তার উপর নির্বাচনী প্রচারের এই বিপুল জনসমাগমে করোনাবিধির চরম উপেক্ষা নতুন করে লকডাউনের সূচনা করলে আদালতে দ্রুত সুবিচার পাওয়ার আশা পরিত্যাগ করতে হবে। অনুরোধ, করোনাবিধি পালন-সহ শ্রীরামপুর উচ্চ আদালতে ডিভোর্সের মামলাগুলি দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টিপাত করা হোক।

মৌমিতা হালদার

ডানকুনি, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন