মালদহ জেলার একটি বড় সম্পদ ‘আম’। এই সম্পদটিকে দ্রুত বাঁচান। ক্রমাগত ইটভাটাগুলির ধোঁয়ার দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে আমের গুটির। উদ্বিগ্ন বহু আমচাষি। সব ব্লকেই একই ছবি। পাশে আমবাগান, কালো ধোঁয়া উড়ছে ইটভাটাগুলি দিয়ে। আমবাগানের ১.৬ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা তৈরি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না।
মঙ্গলচন্দ্র ঘোষ
মালদহ
বেহালা বেহাল
গত ৪ মার্চ একটি কাজে বেহালা চৌরাস্তা যেতে হয়েছিল। ওই মোড়টি দিয়ে অনেক জায়গার অটো যায় ও মেন রাস্তা দিয়ে অন্য যানবাহন তো চলেই। মোড়টিতে এতটাই বিশৃঙ্খল অবস্থা যে দাঁড়ানোর জায়গা নেই ঠিকঠাক, দু’জন ট্র্যাফিক গার্ডকে দেখলাম নিরুত্তাপ, অটো ঠিকমত ঢুকতে বেরোতে পারছে না স্থান অকুলান হওয়ার জন্য, যারা পারছে ইচ্ছেমত লাইন ভাঙছে এবং যানজট হচ্ছে। সবাইকে ছাপিয়ে এক নম্বরে অবশ্যই দূষণ। মেট্রোর কাজের জন্য ইতিউতি জায়গা খোঁড়া। প্রবল পরিমাণে ধুলো উড়ছে এবং তা আমরা গিলতে বাধ্য হচ্ছি। আশেপাশের খাবারের দোকানেও তা মিশছে।
দেবজিৎ সিংহরায়
কলকাতা-৯৩
পাড়ার দুর্দশা
আমি বোড়াল মেন রোড টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন আনন্দশ্রী পাড়ার বাসিন্দা। এই অঞ্চলটি ১১১ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্গত, যেটি গড়িয়ার অত্যন্ত পুরনো অঞ্চল। আমাদের পাড়াটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো পাড়াই শুধু নয়, এই পাড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা, এটি বোড়াল মেন রোডের একদম উপরে এবং পাড়ার প্রবেশপথটি অত্যন্ত প্রশস্ত, যা এই অঞ্চলে খুব একটা দেখা যায় না। আমাদের আশা ছিল, পাড়ার সামনে এই বৃহৎ খোলা জায়গাটিতে কোনও শিশু উদ্যান অথবা কোনও রকম সৌন্দর্যায়ন করা হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই সুবিধার জায়গাটাই এখন সবচেয়ে অসুবিধার জায়গা হয়ে উঠেছে। এ অঞ্চলের যত নতুন ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হচ্ছে, তার সমস্ত নির্মাণ-বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এই প্রবেশপথটিতে। তা ছাড়া অঞ্চলটি হয়ে উঠেছে মূত্রত্যাগের জায়গা, যে যখন খুশি এসে গাড়ি থামিয়ে এখানে মূত্রত্যাগ করে। সামনের গভীর পুকুরটি থেকে সমস্ত জল নিষ্কাশন করে সেটিকে ধীরে ধীরে বর্জ্য পদার্থ দিয়ে বুজিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। বাড়ির সংলগ্ন অংশে ছোটবড় গাড়ির পার্কিং হয়, এমনকী লরিও এখানে পার্ক করে রাখা হয়।
শিবানী
ই-মেল মারফত
সিম-এ আধার
সম্প্রতি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন যে কয়েকটি ক্ষেত্র বাদ দিলে আধার সংযুক্তিকরণ আর বাধ্যতামূলক নয়। যেমন সিম কার্ডের ক্ষেত্রে আধার সংযুক্তিকরণ আর বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। সম্প্রতি আমি আমার মোবাইল ফোন সংস্থার একটি স্টোরে গিয়েছিলাম, নম্বর পোস্ট-পেড থেকে প্রিপেড-এ পরিবর্তন করতে। স্টোর ম্যানেজার জানালেন, আধার বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই কথাটা তাঁরা লিখিত দিতে পারবেন না।
মহম্মদ আলি
কলকাতা-১৬
গাছ কাটা
যশোর রোডে বারাসত, অশোকনগর, হাবড়া ও বনগাঁ শহরে মোট পাঁচটি রেল সেতু তৈরির পরিকল্পনা করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এর জন্য যশোর রোডে গাছ কাটা পড়বে ৩৫৬টি (‘গাছ বাঁচিয়ে...’, ১-৩)। মনে রাখা দরকার, উত্তর ২৪ পরগনায় আয়তনের তুলনায় গাছের অনুপাত থাকার কথা ৩৩ শতাংশ। বর্তমানে সেটা মাত্র ০.৯৫৭ শতাংশ। এর আগে দেখা গিয়েছে হাবড়া-নৈহাটি এবং বনগাঁ-চাকদহ রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, একটি গাছের পরিবর্তে পাঁচটি করে গাছের চারা বসানো হবে। কিন্তু বাস্তবে ওই সব রাস্তায় কোনও গাছই লাগানো হয়নি। বারাসত থেকে বিরাটি পর্যন্ত যশোর রোড সম্প্রসারণের ফলেও অনেক গাছ কাটা হয়েছিল, সেখানেও নতুন গাছের কোনও চারা পোঁতা হয়নি।
রতন চক্রবর্তী
উত্তর হাবড়া, উত্তর ২৪ পরগনা
তালিকার ওষুধ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্যাশলেস স্বাস্থ্য প্রকল্পের বহির্বিভাগীয় চিকিৎসায় বয়স্ক পেনশনাররা কিছু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা অনেকেই প্রোস্টেট বৃদ্ধি বা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত, কিন্তু এই রোগ দুটি তালিকাভুক্ত না থাকায়, ওষুধের অর্থ ফেরত পাওয়া যায় না।
অশোক পাত্র
রামপুর, বাঁকুড়া
আতপ চাল
আমি দার্জিলিং জেলায় থাকার সুবাদে জানি, যে-চাল দেওয়া হচ্ছে স্কুলে মিড-ডে মিলের জন্য, তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়েছে, অভিভাবকরাও তাতে সন্তুষ্ট নন, তাঁরাও লাগাতার অভিযোগ করেই চলেছেন। কারণ এই আতপ চালের দলা পাকানো ভাত কোনও ছাত্রছাত্রীই ঠিক ভাবে খেতে পারে না। আতপ চালের ভাত তারা বাড়িতেও খায় না, সেদ্ধ চালের ভাত খায়, কাজেই ভীষণ মুশকিলে পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
শুভজিৎ বসু
নকশালবাড়ি, দার্জিলিং
শিক্ষকের বদলি
আমি একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পূর্বে জলপাইগুড়িতে কর্মরত থাকলেও সাধারণ বদলির মাধ্যমে ২০১৪ সালে মালদহে স্থানান্তরিত হয়েছি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে হাই স্কুলে এ যাবৎ ওই এক বারই সাধারণ বদলি হয়েছে, যার ফলে বহু শিক্ষক উপকৃত হয়েছেন। তৎকালীন নিয়মে বলা ছিল, সারা চাকরি-জীবনে এক বার সাধারণ বদলি এবং এক বার আপস বদলি নেওয়া যাবে। ফলে আর এক বার বদলির সুযোগ থাকায় অনেকেই বাড়ির একেবারে কাছে না হলেও, উল্লিখিত সাধারণ বদলি নিয়েছিলেন। এর ফলে বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত করতে না পারলেও, বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সহজতর হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ২০১৫ সালে বদলি-সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, সারা চাকরি-জীবনে যে কোনও বদলি এক বারই নেওয়া যাবে। ফলে, আমার মতো সাধারণ বদলি নিয়েও বাড়ি থেকে স্কুল করতে না পারা বহু শিক্ষক পড়েছেন আতান্তরে। প্রশ্ন হল, এই নিয়ম পরিবর্তনের কারণ এবং যৌক্তিকতা কী? আপস বদলিতে কোনও স্কুলেই শূন্য পদের সৃষ্টি হয় না— এক জন শিক্ষক যান, আর এক জন শিক্ষক আসেন। তা ছাড়া পূর্বের নিয়মকে বিশ্বাস করে সাধারণ বদলি নেওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে কি এটা এক ধরনের প্রতারণা নয়? কারণ, আগে জানলে তাঁরা হয়তো এ ভাবে বাড়ি থেকে ঈষৎ দূরে বদলি না নিয়ে অপেক্ষা করতেন পরের বারের জন্য।
জীবন বন্দ্যোপাধ্যায়
সাগরদিঘি, মুর্শিদাবাদ
পেঁয়াজ বীজ
এখন পেঁয়াজ চাষের মরসুম, কিন্তু পেঁয়াজ বীজের লাগামছাড়া দাম, ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দর। অনেক চাষিই কিনতে পারছেন না, তা ছাড়া এই চড়া দামে বীজ কিনে চাষ করে লাভের আশা খুবই কম। কোনও চাষি চড়া দামের জন্য পেঁয়াজ বীজ বেচতেও পারছেন না।
বাপ্পা রায়
মুকুন্দপুর, পুরুলিয়া
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়