‘লড়াই’ শব্দটাকেও নিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
সংশয় নেই, কোঝিকোড়ের যুদ্ধে জয়ী হলেন নরেন্দ্র মোদী। বিপক্ষে আচরাচর অক্ষৌহিনী সেনা, হ্রেষাধ্বনি-বৃংহণ ছাপিয়ে পদাতিকদের মেদিনীকাঁপানো দুন্দুভিনাদ। আর নিজের দিকে বিশ্বস্ত কিছু সেনানায়ক। কোঝিকোড়ের প্রাঙ্গণে যখন সূর্যাস্ত হল, অন্তত তখন, এ দিনের মতো জয়ীর হাসি নিয়েই নিজের শিবিরে ফিরতে পারলেন প্রধানমন্ত্রী।
যদিও যুদ্ধটা সহজ ছিল না। পাকিস্তানকে ‘উচিত শিক্ষা’র লক্ষ্যে দেশব্যাপী যুদ্ধজিগির, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রক্তোন্মাদনা, চ্যানেলের পর চ্যানেলের সান্ধ্য বাসরে ঘন ঘন রণহুঙ্কার এবং সর্বোপরি নিজের দল-শরিক-শিবির-সঙ্ঘ পরিবারের ভিতর থেকে উঠে আসা তুমুল চাপের সামনে দাঁড়িয়ে মোদীর কাজটা কঠিনই ছিল বরং। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত পথে চড়া সুরই নিলেন, আক্রমণ করলেন, ডাক দিলেন তাদের বিচ্ছিন্ন করার এবং গোটা দেশ যে শব্দটার উল্লেখ-অনুল্লেখের সম্ভাবনায় তাঁর দিকে তাকিয়েছিল, সেই ‘লড়াই’ শব্দটাকেও নিয়ে এলেন। এবং এ দিনের জয়ের মন্ত্রটাও ছিল সেখানেই। ডাক দিলেন বেরোজগারি-অশিক্ষা-দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের, এই লড়াইয়ের ময়দানে আহ্বান জানালেন পাকিস্তানকে এবং সেই সুবাদেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ‘মুখোশ’ ধরে টান দিলেন।
রাজনীতিক-প্রশাসক-কূটনীতিক তিনটে টুপি মাথায় দিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব এবং তাকে ঘিরে প্রত্যাশার মোকাবিলা করা খুব কঠিন। সংশয় নেই, শনিবার মোদী সেই কাজটি সুচারু ভাবেই করলেন।
কিন্তু, যুদ্ধজিগির থামবে এ বার?