এক পক্ষে সভ্যতা, অন্য পক্ষে সন্ত্রাস: চূড়ান্ত লড়াই এগিয়ে আসছে

প্রয়োজনটা ধীরে ধীরে অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র। অনুভূতিটা চারিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্বে। একা একা বা বিচ্ছিন্ন ভাবে লড়তে হচ্ছিল অনেক রাষ্ট্রকেই। কিন্তু এ বার অনেকেরই মনে হচ্ছে, সবাই মিলে দানা বাঁধা দরকার,প্রত্যাঘাতটা ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রয়োজনটা ধীরে ধীরে অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র। অনুভূতিটা চারিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্বে। একা একা বা বিচ্ছিন্ন ভাবে লড়তে হচ্ছিল অনেক রাষ্ট্রকেই। কিন্তু এ বার অনেকেরই মনে হচ্ছে, সবাই মিলে দানা বাঁধা দরকার,প্রত্যাঘাতটা ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।

Advertisement

ভারত ও ইজরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্কের রজত জয়ন্তীতে পৌঁছেছে। আড়াই দশকে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতার লেখ ঊর্ধ্বমুখীই থেকেছে মূলত। মাইলফলকে পৌঁছে সে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির অঙ্গীকার শোনা গেল দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মুখে। তবে সবচেয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে শোনা গেল সন্ত্রাসকে শেষ করতে একজোট হওয়ার ঘোষণা।

সন্ত্রাসের বিপদ সম্পর্কে গোটা বিশ্বকে দীর্ঘ দিন ধরেই সতর্ক করে আসছে নয়াদিল্লি। কেউ কেউ গুরুত্ব দেননি, কেউ কেউ বোঝেননি, কোনও কোনও রাষ্ট্র আবার বুঝেও বোঝেনি। সেই সুযোগে নিঃশব্দে পরিব্যপ্ত হয়েছে গরল। শিরা-উপশিরা বেয়ে এত ছড়িয়েছে বিষ যে একক প্রচেষ্টায় জ্বালা প্রশমন অসম্ভব আজ। তাই কখনও আমেরিকা, কখনও রাশিয়া, কখনও ব্রিটেন, কখনও ফ্রান্স, কখনও জার্মানি, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা,বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, আরও অনেকে একে একে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের তত্ত্বেই সিলমোহর দিচ্ছে। সন্ত্রাসের আর এক নিশানা ইজরায়েলও সেই পথ নেবে প্রত্যাশিত ছিল। হলও তাই।

Advertisement

দৃঢ় হোক ঐক্য। দুর্ভেদ্য হোক প্রত্যয়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হোক, যে লড়াইয়ের এক প্রান্তে তামাম সভ্য বিশ্ব, অন্য প্রান্তে একাকী সন্ত্রাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন