রাধাবল্লভ মন্দির
একটি ঐতিহ্য
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের আশপাশে বহু ঐতিহাসিক স্মারক ছড়িয়েছিটিয়ে অবহেলায় পড়ে আছে। শহর থেকে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরবর্তী আন্দুলিয়ার গৃহদেবতা বা গ্রামদেবতা বলে পরিচিত ‘শীতলা গাছতলা’ আজও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় বারোশো বছরের তেঁতুলগাছতলা শীতলাতলা বলে সবাই জানেন। হিন্দু-মুসলমান জনগোষ্ঠীর পবিত্রস্থান আন্দুলিয়া শীতলাতলা। ধু ধু মাঠ, ধানখেতের মধ্যে দিয়ে গিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঈদগাহ, পাথর চাপরের মেলার স্থান বহু প্রাচীন পরম্পরা পবিত্রস্থান। কিছু দূরে কালীবাড়ি সড়ক অতিক্রম করে কয়েকশো বছরের প্রাচীন দক্ষিণ কালীবাড়ি। কান্দি শহরের ইতিহাসের নানা ঘাতপ্রতিঘাতের সাক্ষী কালীবাড়ি অন্যতম দ্রষ্টব্য। জাগ্রত পবিত্রস্থানের বিষয়ে মানুষের আগ্রহে কোনও দিন ভাটা পড়বে না।
কালীবাড়ি থেকে সবুজ ধানখেত পেরিয়ে ঢালা পিচের রাস্তা প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে জজান। ছোট্ট জনবসতি জজানের চার পাশে অসংখ্য পুকুর বহু বছরের প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মন্দির, শিবমন্দির কয়েকশো বছরের স্মৃতি আগলে দাঁড়িয়ে আছে। দক্ষিণ কালীবাড়ির মতোই নিরাকার কালীমূর্তি। প্রধান পুরোহিত অধীর ভট্টাচার্য জানালেন সর্বমঙ্গলা মন্দিরের প্রধান ফটকের মাথায় এক উজ্জ্বল বর্ণের পাথর ছিল। ঘন ঘন রং পালটাত। জেলার বিশিষ্ট বিজ্ঞানমনস্ক পণ্ডিত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী পরীক্ষা করার জন্য অদ্ভুত পাথরটি ঢাকার মিউজিয়মে পাঠিয়েছিলেন পরীক্ষার জন্য, পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।’ পুরোহিত অধীর ভট্টাচার্য এ কথা জানিয়ে বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সংস্কারের জন্য এগিয়ে এসেছেন। পুরোহিত জানান সর্বমঙ্গলার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব আছে। মন্দিরের চার পাশে বহু পরিখা খনন করা হয়েছিল। কান্দি রাজবাড়ি বাঘডাঙায় আজও প্রায় পাঁচশো বছরের অষ্টধাতুর দুর্গা মূর্তির পুজো চলছে। তত্ত্বাবধায়ক চৌধুরী জানান তাঁদের আদি বংশ মধ্যপ্রদেশের। কান্দি রাজবাড়ি বাঘডাঙার আদি জমিদারদের ‘দেওয়ান’ ছিলেন। কান্দি রাজবাড়ির রাধাবল্লভের মন্দির দেখে এলাম।
অমল গুপ্ত। গুয়াহাটি
প্রতারক
অজস্র নামী অনামী ভ্রমণসংস্থার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বহু বাঙালি পরিবার নিরাপদ ভ্রমণের আশায় এই সব সংস্থার দ্বারস্থ হন। এদের মধ্যে কিছু সংস্থা নিরাপত্তা দেওয়া তো দূরে থাক, দায়িত্বশীল ভাবে পাশে থাকার কথাটাও ভ্রমণকালে ভুলে যায়। এমনই একটি ভ্রমণসংস্থা (লালবাজার ও গড়িয়াহাটে অফিস)-র সঙ্গে নেপাল ভ্রমণে হয়রানির শিকার আমরা তিনটি পরিবার। প্রথমত, ব্রোশিয়োরে উল্লেখিত টাকার চেয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে বেশি টাকা নেওয়া, দ্বিতীয়ত, নিজের পছন্দের জায়গা অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং করেও, যাত্রা শুরুর সাত দিন আগে ‘ট্যুর ক্যানসেল’ জানিয়ে অন্যত্র ভ্রমণে যেতে বাধ্য করা, ক্রমাগত মিথ্যা ভাষণ করে ভুল তথ্য দিয়ে মানসিক উদ্বেগে রাখা। এ সবের সঙ্গে যুক্ত হয় বেড়ানোর সময় হোটেলে ঘরের অনিশ্চয়তা, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, এমনকী ‘একশো শতাংশ কনফার্ম’ ফেরার টিকিট দেওয়ার আশ্বাস সত্ত্বেও ফেরার দিন সেই ব্যবস্থা না করার জন্য অতিরিক্ত এক দিন এক রাত একা একটি পরিবারকে হোটেলে থাকতে বাধ্য করে সহযাত্রীদের সঙ্গে না পাঠিয়ে পর দিন টিকিট হাতে ধরিয়ে ম্যানেজার সঙ্গে না ফিরে চূড়ান্ত অসহায়তার মধ্যে ফেলতেও এদের বাধেনি। এই সব অনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
জ্যোতির্ময় রায়চৌধুরী। কলকাতা-১২৬
বাংলাদেশের পুজো
‘তারপর বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন’ লেখাটিতে (৭-১০) শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামানকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশে মোট দুর্গাাপুজোর সংখ্যা লিখেছিলাম ‘সাড়ে চারশো-পাঁচশো।’ কিন্তু ‘বাংলাদেশ পুজো উদ্যাপন পরিষদ’ সূত্রে জানা গেল এ বার মোট পুজোর সংখ্যা ২৮,৮৫৮। যার মধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পুজোর সংখ্যা ২১৮। এই তথ্যে আমি অভিভূত।
অশোককুমার মুখোপাধ্যায়। কলকাতা-৯১