WBCHSE HS Result 2025

শহর থেকে এগিয়ে গ্রাম, বার্ষিক ব্যবস্থার শেষ উচ্চ মাধ্যমিক ছাপিয়ে গেল ১০ বছরের ফলকে

ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে এবং বাল্যবিবাহ ঠেকাতে রাজ্য সরকারের যে বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে, পরীক্ষার ফলাফলেও তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৫ ১৮:৪২
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এ বারের ফলপ্রকাশের পরই বার্ষিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থায় ইতি পড়ল। ২০২৬ থেকে সেমেস্টার পদ্ধতিতে বছরে দু’বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। পুরনো পাঠ্যক্রমে বিগত ১০ বছরের মধ্যে সেরা ফলাফল এই বছরই হয়েছে, এমনটাই দাবি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত অতিমারি আবহ বাদে চলতি বছরে পাশের হার সর্বাধিক (৯০.৭৯ শতাংশ)। ২০২৪-এ পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ।

Advertisement

শুধুমাত্র সার্বিক পাশের হারের নিরিখেই নয়, চলতি বছরে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেও শেষ দশ বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশের ঘরে সর্বাধিক পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছেন। এ ছাড়াও ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ৪৫.৩৮ শতাংশ পড়ুয়া, ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ২৫.৬৬ শতাংশ পড়ুয়া, ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ১৬.৯৯ শতাংশ পড়ুয়া, ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ১০.২৫ শতাংশ পড়ুয়া এবং ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছ ১.৭ শতাংশ পড়ুয়া।

এ ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের হিসাব অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চল এবং শহরাঞ্চলের পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বরেও বিস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে। ৯০ শতাংশ কিংবা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, গ্রামাঞ্চলে এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ১.০৪ শতাংশ, শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে ওই সংখ্যা ০.৬৬ শতাংশ। ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে গ্রামাঞ্চলের ৩১.০৪ শতাংশ পড়ুয়া, যেখানে মাত্র ১৪.৩৩ শতাংশ শহরের পড়ুয়া ওই নম্বর পেয়েছেন। এই তালিকা অনুযায়ী, সার্বিক পাশের হারের নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৫.৭৪ শতাংশ), উত্তর ২৪ পরগনা (৯৩.৫৩ শতাংশ)-র পর জায়গা পেয়েছে কলকাতা (৯৩.৪৩ শতাংশ)। তবে বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বীরভূম, কালিম্পং, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি সার্বিক পাশের হারে বরাবরই ৯০ শতাংশ পেরোয়।

Advertisement

ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার নিরিখে বিচার করলেও এগিয়ে গ্রামাঞ্চলই। যেখানে গ্রামাঞ্চলের ৩২.৪৮ শতাংশ ছাত্রীরা ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন, যেখানে শহরাঞ্চলের ১৪.৭৭ শতাংশ ছাত্রীরা ওই নম্বর পেয়েছেন। ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, গ্রামাঞ্চলের এমন ছাত্রীদের সংখ্যা ১.০৬ শতাংশ, শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ০.৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল স্তরে বিভিন্ন নতুন বিষয়ে পঠনপাঠন, থিয়োরির পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের উপর জোর, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির প্রচলন ছাড়াও মেয়েরা নানাবিধ প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে রাজি হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি এই ফলাফল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement