প্রতীকী চিত্র।
২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সতর্ক পর্ষদ। প্রত্যেকটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডি আই) সতর্ক করলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোনও আধিকারিকের সন্তান বা কোনও নিকটাত্মীয় মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলে তিনি কোনও ভাবেই পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মালদার এক বিদ্যালয় পরিদর্শক নিজের সন্তানের পরীক্ষার কথা গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই তথ্য প্রকাশ পেতেই শিক্ষকমহলে প্রশ্ন ওঠে পরীক্ষার গোপনীয়তা নিয়ে।
তার পরেই নড়ে বসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছেন, ২০২৬ সালে বিদ্যালয় পরিদর্শকদের ছেলে বা মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হলে আগে থেকে ঘোষণাপত্র দিয়ে তা জানাতে হবে বোর্ডেকে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ বলে দাবি।
মাধ্যমিকের দায়িত্বে থাকা কোনও কেন্দ্রের ইনভিজিলেটর, প্রধান শিক্ষক, পর্ষদের কর্মী, ডিআই অফিসের সমস্ত কর্মী-আধিকারিক, প্রশ্নপত্রের কাস্টাডিয়ান (পুলিশ ও ট্রেজারি অফিসার) এবং অফিসার ইনচার্জদের কোনও নিকটাত্মীয় যদি পরীক্ষার্থী হয়, তা হলে কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে দূরত্ব রাখাই রীতি।
কিন্তু চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেই নিয়ম ভঙ্গেরই অভিযোগ উঠেছে মালদার বিদ্যালয় জেলা পরিদর্শক বা ডিআই বাণীব্রত দাসের বিরুদ্ধে। তাঁর সন্তান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু তিনি পালন করে গিয়েছে সমস্ত দায়িত্ব।
এই ঘটনার পর বাণীব্রতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি পর্ষদ। কারণ, সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকার অভাব ছিল। এর আগে শিক্ষকদের জন্য নির্দেশ থাকলেও, আধিকারিকদের জন্য তা ছিল না। তাই এ বার নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষধ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষায় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডিআই। তাঁর মাধ্যমে গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থা তদারকি করে পর্ষদ ও স্কুল দফতর। জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়ামক আধিকারিক তাঁরাই। এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্যই আগাম সমস্ত জেলা পরিদর্শকদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে।”