teacher salary directive

পাঁচ বছর পর নড়ে বসল স্কুল শিক্ষা কমিশন! শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন সমস্যার সমাধানে নয়া নির্দেশ

রোপা ২০১৯ আইন অনুযায়ী, পে ম্যাট্রিক্স-এর শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছেন যে সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা, তাঁদের বিশেষ ‘ইনক্রিমেন্ট’-এর ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

আইন অনুযায়ী বেতনবৃদ্ধি বা পদোন্নতির সুবিধা পাওয়ার কথা রাজ্য সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সেই সুবিধা পাননি তাঁরা। এ বার নড়ে বসল স্কুল শিক্ষা কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত ১২ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, রোপা ২০১৯ আইন অনুযায়ী, পে ম্যাট্রিক্স-এর শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছেন যে সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা, তাঁদের বিশেষ ‘ইনক্রিমেন্ট’-এর ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। গোটা বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সমস্ত জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডি আই, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক), জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপারসন, সমস্ত জেলার কন্ট্রোলার ও ফিনান্স এবং মহাকুমার সমস্ত অতিরিক্ত ও সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্বাভাবিক বেতনবৃদ্ধি ও পদোন্নতির সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছিলেন রাজ্য সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা। এর ফলে শিক্ষকমহলের একটি বড় অংশ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।

Advertisement

শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, সময় মতো বেতন কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংশোধন না করলে বেতন বৃদ্ধি হবে না। তরুণ প্রজন্মও এই পেশা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাবে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “রোপা ২০১৯ কার্যকরী হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই এই আইন কার্যকর করা প্রয়োজন ছিল। কারণ, তখন থেকেই এই সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement