প্রতীকী চিত্র।
২০১৬ উচ্চ প্রাথমিকে ১,২৪১ জন চাকরিপ্রার্থীকে দ্রুত নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তারপরই কোথায় কত শূন্য পদ রয়েছে, শিক্ষা দফতরের কাছে তা জানতে চাইল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সম্পূর্ণ তথ্য হাতে এলেই এই শূন্য আসনে নিয়োগ করা হবে বলে এসএসসি সূত্রের খবর।
দুর্গাপুজোর পরেই উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি ১,২৪১ জনের কাউন্সিলিং শুরু হবে। ইতিমধ্যে স্কুল জেলা পরিদর্শকদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। বেশ কয়েকটি জেলায় স্কুল পরিদর্শকরা দ্রুততার সঙ্গে এই তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে। পুজোর ছুটির পরই সেই তথ্য দফতরের তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। এমনটাই শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
গত জুলাই মাসে অষ্টম দফার কাউন্সেলিং হওয়ার পর আর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। দীর্ঘ দিন পরও এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
ইতিমধ্যেই আদালতের তরফ থেকে জানান হয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ না পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের ২০ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে আদালত কে তথ্য জমা দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “২০২৪ সালের অগস্টে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, তারপর প্রায় ১৩ মাস অতিক্রান্ত। এখনও সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হল না। আমরা চাই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুক এসএসসি।”
এর আগে মোট আটটি কাউন্সেলিং পর্বে দফায় দফায় চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রথম বার ৮,৭৪৯ জন, দ্বিতীয় বার ২,৫৯৫ জন, তৃতীয় বার ৭২৪ জন, চতুর্থ বার ২৬১ জন, পঞ্চম বার ১৫৩ জন এবং ষষ্ঠ বার ৭২৭ জন, এবং সপ্তম দফার কাউন্সেলিংয়ের জন্য ১২১ জন, অষ্টম দফায় ৪৮ জন প্রার্থীকে ডেকে পাঠানো হয়। এর ফলে ১২,৭২৩ সালের কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে।
চাকরির দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তি পাদদেশে ক্রমাগত ধর্না দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার অবস্থান ও ধর্নার ১০১৪ তম দিন। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, বাকি ১,২৪১ জন প্রার্থীর কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ধর্না প্রত্যাহার করা হবে।