— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অণুর থেকেও ছোট কণা আমূল বদলে দিয়েছে গণনার পরিভাষাকে। সাধারণ কম্পিউটারের কাজ কয়েকগুণ দ্রুত হারে করে ফেলা যায় ওই কণার সাহায্যে। ওই কণার উপস্থিতি, তাকে চালনা করছে এমন এনার্জি, ম্যাটার; ইলেকট্রনস, ফোটন, অ্যাটমস-এর মতো পার্টিকল এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মিথস্ক্রিয়া নিয়েই কোয়ান্টাম সায়েন্স-এর পড়াশোনা। সেই বিষয় নিয়ে কলেজ স্তরেই শুরু হবে পঠনপাঠন। পরিকাঠামো গড়তে বিপুল আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, মোট ১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে কোয়ান্টাম বিষয়ক গবেষণা এবং পঠনপাঠনের জন্য ওই অনুদান দেওয়া হবে। আগ্রহী পড়ুয়ারা স্নাতক স্তরেই যাতে কোয়ান্টাম সায়েন্স নিয়ে পড়তে পারেন, এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারাও যাতে বিষয়টি যথাযথ ভাবে শেখাতে পারেন— তা সুনিশ্চিত করবে কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। ইতিমধ্যেই ওই বিভাগের কাছে দেশের ৫০০টি কলেজ কোয়ান্টাম গবেষণার জন্য পরিকাঠামো চেয়ে প্রস্তাব পেশ করেছে।
প্রযুক্তি সংস্থা গুগল-এর ‘কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি’-র তকমা পেতে দেশে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল কোয়ান্টাম মিশন। ওই প্রকল্পের অধীনে ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটারস অ্যান্ড সিমুলেটরস’, ‘কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন’, ‘কোয়ান্টাম সেন্সিং অ্যান্ড মেটেরোলজি’ এবং ‘কোয়ান্টাম মেটেরিয়ালস অ্যান্ড ডিভাইসেস’ নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু হয়েছে ২০২৩ থেকে। মোট আট বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের প্রচলন শুরু করতে তৎপর কেন্দ্র।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার আইআইটি বোম্বে-এর একটি অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ ঘোষণা করেন, কোয়ান্টাম সায়েন্স-এর একাধিক বিষয় নিয়ে গবেষণার স্বার্থে ৭২০ কোটি টাকা কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আইআইটি বোম্বে-সহ দিল্লি, কানপুর এবং আইআইএসসি বেঙ্গালুরু-তে স্টেট অফ আর্ট কোয়ান্টাম ফ্যাব্রিকেশন এবং সেন্ট্রাল ফেসিলিটি তৈরি করা হবে।” ওই কেন্দ্রগুলি মাঝারি মাপের কোয়ান্টাম কম্পিউটার, নিরাপদ কোয়ান্টাম যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকাঠামো তৈরির কাজ করবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০২৫-কে কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বছর হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাই বছর শেষ হওয়ার আগেই কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান চর্চায় সমস্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের তলায় আনতে বিশেষ মউ স্বাক্ষর করতে চলেছে কেন্দ্র। তবে, এই প্রযুক্তি যাতে পড়ুয়া, গবেষকদের সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদেরও বোধগম্য হয়ে ওঠে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা।