ছবি: সংগৃহীত।
যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী-সহ রাজ্যের ১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ আটকে রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ২৮ জুলাই সোমবার। তার ঠিক দু’দিন আগে শনিবার দুপুরে রাজ্যের ১৯ বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শুধু স্থায়ী উপাচার্য নয়, রাজভবনে এই বৈঠকে রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদেরও ডাকা হয়েছে। কেন মামলার দু’দিন আগে তড়িঘড়ি এই বৈঠক তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে। উপাচার্যদের কাছে পাঠানো চিঠিতে কী নিয়ে বৈঠক তা উল্লেখ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের নামেই সায় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আটকে থাকা বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সাতটির ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের ক্রমতালিকায় প্রথম নামের বদলে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে চাইছেন রাজ্যপাল। বাকি আটটির ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের ক্রমতালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় বাদ দিয়ে তিনি তৃতীয় ব্যক্তিকে চাইছেন।
সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে রাজ্যপালের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমণি ও রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের একসঙ্গে বসে সমস্যা মেটাতে বলেছে।
রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর নামের ক্রমতালিকায় মতান্তর থাকায় সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে ‘সার্চ ও সিলেকশন’কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। তারপরে ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা কেটেছে। বাকি ১৭টি আটকে থাকায় প্রাক্তন বিচারপতি ললিতকেই রিপোর্ট দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ১৭ জুলাই বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন।
বিচারপতি জানান, যত বড় ভাবা হয়েছিল ততটা সমস্যা নেই। মাত্র দু’টি ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করা হয় ১০ দিন পরে।