—ফাইল চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে এ বার তৃতীয় সেমেস্টারের প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিটের কার্বন কপি আপলোড করা হবে ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, উত্তর সংকেতও (আনসার কি) দিয়ে দেওয়া হবে।
চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দু’টি সেমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে। তৃতীয় সেমিস্টার হবে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে। এই নয়া পদ্ধতির মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকের ফল হাতে পাওয়ার আগেই উত্তরপত্র হাতে পাবে পরীক্ষার্থীরা।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থে এ বছর থেকে আমরা ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেব। ওয়েবসাইটেই উত্তরপত্র দেখতে পাবে তারা। সেগুলি ডাউনলোড ও প্রিন্টও করা যাবে। এই পদ্ধতিতে আমরা আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট)-এর সংখ্যা কমাতে পারব।”
চলতি বছরের জুন মাসে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে দু’টি প্রস্তাব আনা হয়েছিল— এক, পড়ুয়াদের হাতে ওএমআর শিটের কার্বন কপি তুলে দেওয়া। অর্থাৎ পড়ুয়ারা তৃতীয় সেমেস্টারের প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিটের কার্বন কপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবে। দুই, ফল প্রকাশের আগেই পড়ুয়াদের উত্তরপত্র যাচাই করার সুযোগ দেওয়া।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দেওয়া নির্ধারিত সময়ে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হওয়া বিষয়ভিত্তিক ওএমআর শিট এবং উত্তর সংকেত (আনসার কি) প্রকাশ করা হবে ওয়েবসাইট-এ। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছে মূল্যায়ন হওয়া ওএমআর শিট দেখার জন্য একটি করে আইডি এবং পাসওয়ার্ড থাকবে। শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইট-এ গিয়ে লগ ইন করে আনসার কি-র সঙ্গে তাদের মূল্যায়ন হওয়া উত্তর ওএমআর শিট দেখে মিলিয়ে নিতে পারবে। ফল প্রকাশের আগেই ফল বুঝতে পারবে তারা। পরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে সরাসরি ফল প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমেস্টার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের। তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে ৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মোট ১২ দিন চলবে পরীক্ষা। চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে, শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা চলাকালীন প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষাও চলবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোকেশন্যাল বিষয় ছাড়া সব বিষয়ের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে। তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে দুপুর ১টা থেকে ২টো ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এ বছরের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ।