প্রতীকী ছবি।
স্নাতকস্তরে ইলেক্ট্রনিক সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান বহু পড়ুয়াই। দ্বাদশ শ্রেণির পর কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে? কিংবা ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পর পেশায় প্রবেশের সুযোগ কেমন? সমস্ত তথ্য রইল বিশদে।
স্নাতক স্তরের পড়াশোনা:
দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে গণিত, রসায়ন, এবং পদার্থবিদ্যা থাকলে পড়ুয়ারা স্নাতক স্তরে ইলেক্ট্রনিক সায়েন্স নিয়ে পড়তে পারেন। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়াম মেইন/জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়াম অ্যাডভান্স-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন।
স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা:
পরবর্তী কালে ইলেক্ট্রনিক সায়েন্স নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরেও পড়ার সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে কিংবা সমতুল্য ক্ষেত্রে স্নাতক স্তরে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রয়োজন। তবে এই ক্ষেত্রে প্রার্থীদের গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউট টেস্ট (গেট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
স্নাতক স্তরে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে, সেগুলি হল:
১. সুরেন্দ্রনাথ ইভিনিং কলেজ
২. ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজ
৩. ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়্গপুর
৪. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, দুর্গাপুর
৫. বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়
স্নাতকোত্তর স্তরে এই বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে পড়ানো হয়ে থাকে। পড়ুয়াদের কাছে পিএইচডি এবং পরবর্তীকালে গবেষণার ক্ষেত্রেও প্রচুর সুযোগ রয়েছে।উল্লিখিত বিষয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবংসরকারি গবেষণাগারে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
চাকরি:
ইলেক্ট্রনিক সায়েন্টিস্ট, ডিজ়াইন ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ার, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভিস মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার, ইলেক্ট্রনিক সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার— এই সমস্ত পেশায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে উল্লিখিত পদ ছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়ে থাকে।