যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।
ওবিসি সংরক্ষণ জটে থমকে ছিল ভর্তি প্রক্রিয়া। শুক্রবার থেকে শেষমেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল খুলল। একই সঙ্গে ভর্তির দিনক্ষণের পরিবর্তিত সূচি প্রকাশ করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত একাধিক বৈঠকের পর শুক্রবার বিকেল থেকে কলা এবং স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল খোলা হল। পাশাপাশি জানানো হল, পড়ুয়াদের থেকে কত দিন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং প্রবেশিকা পরীক্ষা ও মেধাতালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য সূচিও। যেখানে দেখা গিয়েছে ভর্তির দিন ক্ষণে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কলা ও বিজ্ঞানে বিভাগে ভর্তির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ জুলাই। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গিয়েছে, কলা বিভাগে আবেদনের শেষ দিন অপরিবর্তিত থাকলেও বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন জানানো যাবে ৪ জুলাই পর্যন্ত। আবেদনমূল্য জমা নেওয়ার শেষ দিন ৫ জুলাই।
তবে সমস্ত প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে। ১৪ জুলাই হবে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রবেশিকা পরীক্ষা। ১৫ জুলাই ইংরেজির প্রবেশিকা। আগামী ১৭ জুলাই বাংলা, তুলনামূলক সাহিত্য এবং ১৮ জুলাই সমাজবিদ্যা ও অর্থনীতির প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে ১১ জুলাই হবে গণিত এবং রসায়নের প্রবেশিকা। ১৪ জুলাই হবে পদার্থবিদ্যা এবং ভূগোলের পরীক্ষা।
নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দর্শন এবং সংস্কৃত বিভাগের মেধাতলিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৩ জুলাই। কলা বিভাগের বাকি বিষয়ের ক্ষেত্রে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জুলাই (সম্ভাব্য দিন)। বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে ২২ জুলাই বিকেল ৪টের পর।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন, বুধবার থেকে যাদবপুরে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ১৭ জুন রাজ্য সরকারের ওবিসি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পরই ভর্তির পোর্টাল খুলবে কি না তা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করে। জটিলতা আরও বৃদ্ধি পায় বৃহস্পতিবার অভিন্ন অ্যাডমিশন পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে একজন মামলাকারী কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে। এর পর আবার দ্বিতীয় দফায় আইনি পরামর্শ নেন যাদবপুরের কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকের পর বেরোয় সমাধান সূত্র। জানানো হয়, ২০১০-এর পুরনো ওবিসি আইন মেনেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। যেখানে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ এবং ৬৬টি সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে। থাকবে না নতুন ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি-এর বিষয়টি। এর পর শুক্রবার বিকেলেই খোলা হয় ভর্তির পোর্টাল।