প্রতীকী চিত্র।
২০২৫ এসএসসি পরীক্ষায় বসার আবেদন করার সময়সীমা বাড়ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই আরও ৭ দিনের সময় বাড়ানোর কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের কাছে। আগে ১৪ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। সে ক্ষেত্রে আরও সাত দিন হাতে সময় পাবেন আগ্রহীরা।
নবম-দশম এবং একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা শেষ বার হয়েছিল ২০১৬ সালে। সে বার প্রায় ২২ লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। প্রায় ১০ বছর হতে চলল, কোনও নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু সে ভাবে বাড়েনি আগ্রহী প্রার্থীদের সংখ্যা। হিসাব বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। এমন কম আবেদনের কারণেই আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন কমে যাচ্ছে আবেদনের হার? চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও ওবিসি সংরক্ষণের জটিলতার ফলেই আগ্রহ কমছে শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, “এসএসসি ‘অযোগ্য’দের পাশে দাঁড়িয়ে আদালতে যে ভাবে সওয়াল করছে, তাতে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সংশয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কষ্ট করে পরীক্ষা দেব, অথচ, দুর্নীতির কারণে চাকরি চলে যাবে। এই ভয়েই মানুষ আবেদন করতে চাইছেন না। তা ছাড়া, ওবিসি সংরক্ষণের জটিলতা তো রয়েছেই।”
এসএসসি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ‘অযোগ্য’ চাকরিহারদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ফের পরীক্ষায় বসার আবেদন করেছেন। এই পরিসংখ্যান নিয়েই প্রশ্ন তুলছে শিক্ষকমহল ও চাকরিহারাদের একাংশ। যদিও কমিশনের এক কর্তা বলেন, “চিহ্নিত অযোগ্যদের মধ্যে যাঁরা ফের পরীক্ষায় বসার আবেদন করেছেন, আদালতের নির্দেশ মতো তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।”
যদিও আবেদনের সংখ্যা কম বলে মানতে নারাজ ওই কর্তা। তাঁর দাবি, “এই আবেদন শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকারা করেছেন। শিক্ষকর্মীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলেই সংখ্যাটা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত দেখা গিয়েছে নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে আবেদন সব থেকে বেশি জমা পড়েছে। নবম দশমে আবেদন জমা পড়েছে ২ লক্ষ ২২ হাজার। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার।
কেন সময়সীমা বাড়ানো হল? স্কুল সার্ভিস কমিশনের ব্যাখ্যা, গত ১৬ জুন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৫টায়। কিন্তু তা শুরু হয় রাত ১০ টা ৩৫-এর পর। এ ছাড়াও প্রযুক্তিগত কারণে জুন মাসে তিন দিন পোর্টাল বন্ধ রাখতে হয়েছিল কমিশনকে। তাই আবেদনকারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সময়সীমা বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে সরকারকে।