— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক দশকে দেশে মেডিক্যাল কলেজ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। প্রায় একই হারে বেড়েছে স্নাতক স্তরে আসনসংখ্যাও। ২ ডিসেম্বর লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন এমনই তথ্য পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডা।
বিজেপি সাংসদ সুমিত্রা বাল্মীকের করা প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠেছে সারা দেশে। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। বেড়েছে চিকিৎসক এবং নার্সের সংখ্যাও।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষ করে ৭ লক্ষ থেকে ৪২ লক্ষ পড়ুয়া নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন চিকিৎসক বা নার্স হিসাবে। ২০১৪-এ মেডিক্যাল স্নাতকে আসনসংখ্যা ছিল ৫১,৩৪৮। তা বেড়ে হয়েছে ১,২৮,৮৭৫। স্নাতকোত্তর স্তরে মেডিক্যাল আসনসংখ্যা ৩১,১৮৫ থেকে বেড়ে ৮২,০৫৯ হয়েছে। সারা দেশে ৩৮৭ থেকে বেড়ে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা হয়েছে ৮১৮।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-এ সারা দেশে মোট ৭৪টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে, এবং ২০২৩-এ ৫৪টি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল, তেলঙ্গানার বেশ কিছু বেসরকারি কলেজ রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুমোদন পেয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৭৮টি সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪-এ চালু হয়েছে তিনটি— নদিয়ার কৃষ্ণনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস প্রাইভেট লিমিটেড, বর্ধমানের ইস্ট ওয়েস্ট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ এবং জাকির হোসেন মেডিক্যাল কলেজ। ২০২৩-এ শুরু হয়েছে হাওড়ার জেআইএস স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ। ২০২২-এ সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে ৭টি নতুন মেডিক্যাল চালু হয়েছে।
সংসদ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে লিখিত রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে তিনি উল্লেখ করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ডের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি ভাল। তাঁর দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি ১০০০ জন নাগরিকের জন্য এক জন করে চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন। ২০২৫-এর সমীক্ষা রিপোর্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৮১১ জন নাগরিকের জন্য রয়েছেন এক জন চিকিৎসক। যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে, উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তাঁদের কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি।