—ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে সতর্ক রাজ্য। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ সরকারের। পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা, উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়।
নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নির্দেশিকা গেল জেলাশাসকদের কাছে। শিক্ষা দফতরের পাঠানো ওই নির্দেশিকা জেলাশাসকদের কাছে পাঠাল নবান্ন। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। দু’টি পরীক্ষা মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী গোটা রাজ্যে পরীক্ষা দেবেন।
সরকারি আধিকারিকদের নজরদারিতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হবে। প্রত্যেকটি জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট র্যাঙ্কের সরকারি আধিকারিকেরা পরীক্ষা কেন্দ্রের নজরদারি ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাখা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি, প্রশ্ন ফাঁস রুখতে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের নেতৃত্বে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি (ফ্রিস্কিং) করা হবে। কোন কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে কী রকম ফ্রিস্কিং হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে জেলা পুলিশ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা কোনও ধরনের ঘড়ি পরতে পারবেন না। তবে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য প্রত্যেকটি পরীক্ষার ঘরে থাকবে দেওয়াল ঘড়ি। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে ধরা পড়লে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি পরীক্ষার রুমে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে কেউ সাদা খাতা জমা দিচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি রুম থেকে মুচলেকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’’