প্রতীকী চিত্র।
এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-র গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ৭,২৯৩ জন। এঁদের প্রত্যেকেরই নম্বরে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল হাই কোর্টে। ‘দাগি’-সহ সকলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল কোর্ট। সেই নির্দেশ মতো তালিকা প্রকাশ করল কমিশন। তবে ৭ হাজার জনের নয়। প্রকাশ করা হল ৩,৫১২ জনের নাম।
‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি, নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর, বাবার নাম, ঠিকানার পাশাপাশি কোন পদে তাঁরা আবেদন করেছিলেন তা-ও জানিয়েছে এসএসসি। আগের তালিকায় খালি নাম ও রোল নম্বর ছিল।
এসএসসি-র এক কর্তা জানান, ‘‘আদালত আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতো শিক্ষা কর্মীদেরও যাঁরা ‘দাগি’ রয়েছেন তাঁদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করলাম। বাদবাকি কোনও সময়সীমা দেয়নি। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।"
১ ডিসেম্বর হাই কোর্টে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, এসএসসি ‘দাগি’ হিসেবে ৩,৫১২ জনের তালিকা প্রকাশ করলেও সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা জানিয়েছেন দাগির সংখ্যা ৭,২৯৩। বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষাকর্মীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে দাগিদের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই ৭,২৯৩ প্রার্থীর বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
এসএসসি-র তরফ থেকে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি-এর জন্য আলাদা আলাদা ‘অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। গ্রুপ-সিতে ১১৬৩ জন ও গ্রুপ-ডিতে ২,৩৪৯ ‘অযোগ্য’ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। গত ৩ রা এপ্রিল প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ এসএলএসটি প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে। তার পরে চাকরি যায় শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের। তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার আবেদনও চলছে। যা চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন না প্রকাশিত ‘দাগি’ শিক্ষাকর্মীরা।