আইআইটি মাদ্রাজের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
‘ভাষা-যুদ্ধে’ মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’। আইআইটি মাদ্রাজের একটি অনুষ্ঠান থেকে তামিলনাড়ু সরকারকে কার্যত খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, “কেন্দ্র কোনও ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছে না। প্রাথমিক স্তর থেকে যাতে মাতৃভাষায় স্কুলপড়ুয়ারা দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সেটাই কেন্দ্রের একমাত্র লক্ষ্য।”
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কুলপড়ুয়াদের তিনটি করে ভাষা বাধ্যতামূলক ভাবে শেখাতে হবে। তাতেই তামিলনাড়ু সরকার অভিযোগ করে, উত্তর ভারতের হিন্দি সংস্কৃতিকে জোর করে তামিলভূমি এবং সেখানকার বাসিন্দাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। স্কুলস্তরে স্থানীয় তামিল এবং ইংরেজি বাদে হিন্দি ভাষা বেছে নেওয়ায় প্রবল বিরোধিতা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
যদিও নতুন শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক ভাবে তৃতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দি শিখতে হবে, তা উল্লেখ নেই। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সেই শর্ত মনে করিয়ে দিয়েছেন আরও একবার। তিনি জানিয়েছেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষার সঙ্গে যে কোনও দু’টি ভাষা স্কুলগুলি বেছে নিতে পারেন, তাঁদের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং চাহিদার ভিত্তিতে। ভারতীয় ভাষার সঙ্গে যাতে ইংরেজিতেও পড়ুয়ারা সড়গড় হতে পারে, সে জন্যই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকারের বিরোধিতাকে এক প্রকার সমর্থন করেই তেলঙ্গানার সব স্কুলে বাধ্যতামূলক হয়েছিল তেলুগু। যদিও পড়ুয়াদের মাতৃভাষায় আরও সড়গড় করতে এবং অন্য রাজ্যের পড়ুয়াদের তেলুগু ভাষার সঙ্গে পরিচয় ঘটাতেই এই বিধি আরোপ করা হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছিল তেলঙ্গনা প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ-ও মনে করিয়ে দেন, দেশের ১০ শতাংশ ব্যক্তি ইংরেজিতে সাবলীল। তাই আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ছেলেমেয়েদের যদি সফল হতে হয়, তা হলে মাতৃভাষার পাশাপাশি, অন্য ভাষাতেও সমান ভাবে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।