উচ্চ মাধ্যমিকের বইয়ে কিউআর কোড। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
জালিয়াতি রুখতে উচ্চ মাধ্যমিকের বইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে কিউআর কোড। সরকারি বইয়ের বেআইনি বিক্রি রুখতেই এমন ব্যবস্থা নিতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময়েই দেখা যায়, বাজারে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে দেওয়া বইগুলি বিক্রি করা হয়। জাল বই রুখতেই কিউআর কোড-এর ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই কিউআর কোড নকল করা সম্ভব নয়। তাতে উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
সরকার থেকে দেওয়া বইয়ের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই বোঝা যাবে তা আসল কি না। স্ক্যান করলে শিক্ষা সংসদের লোগো থেকে বই সংক্রান্ত বিস্তারিত দেখতে পাওয়া যাবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বেশ কিছু জেলা থেকে অভিযোগ আসছিল সরকারি বই জাল করা হচ্ছে বলে। এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যেও বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। তার জন্য আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
দীর্ঘদিন পর অবশেষে জুনের প্রথম সপ্তাহের পর স্কুলে স্কুলে সরকারি বই পৌঁছোয়। তার আগে পর্যন্ত পড়ুয়াদের ভরসা ছিল অনলাইনে ডাউনলোড করা পিডিএফ-ই। তবে এর আগের বছর পর্যন্ত বইয়ের বাজারগুলিতে দেখা যেত সরকারের দেওয়া বই কিছুটা এদিক ওদিক করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ দিকে, সেই বই বিনামূল্যে পড়ুয়াদের দেওয়া হয় সরকারের তরফে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছে স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরাও। কিন্তু এই সমস্যা রুখতে আলাদা ভাবে শিক্ষা সংসদের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নিলেও তাঁরা নিজেদের বইয়ে কিউআর কোড ব্যবহার করছে। এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক মহলের একাংশে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, কাউন্সিলের বই নকল করে কোনও একটা মহল বিক্রি করছে। তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?’’