প্রতীকী চিত্র।
আদালতের নির্দেশ মেনে ২০১৬ প্যানেলের ‘দাগি অযোগ্য’দের নামের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১,৮০৬ জনের ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, চলতি বছর অগস্টে সুপ্রিম কোর্টে ‘অযোগ্য’দের তালিকা পেশ করেছিল রাজ্য। এই ‘অযোগ্য’রা যেন কোনও ভাবেই নতুন পরীক্ষায় যোগ দিতে না পারে, তা সুনিশ্চিত করতে এসএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় অনেক ‘অযোগ্যে’র নাম রয়েছে পরীক্ষার্থী হিসাবে। এমনকি ইন্টারভিউ তালিকায়ও এক ‘অযোগ্যে’র নাম দেখা যায়। মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। তার পরই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দেন, শুধু নাম নয়, চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের নাম, ঠিকানা, পিতৃপরিচয়-সহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
এর আগে রাজ্য যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে শুধু চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের নাম ও রোল নম্বর ছিল। বৃহস্পতিবার যে তালিকা প্রকাশ হল, তাতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নাম, রোল নম্বর, বিষয়, পিতার নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা। তবে এখানে উল্লেখ করা হয়নি ওই প্রার্থী ২০১৬ সাল থেকে কোন স্কুলে পড়াচ্ছিলেন। উল্লেখ করা হয়নি তাঁরা সাধারণ না কি তফশিলি জাতি-উপজাতি বা অন্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত! আর তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, কেন চিহ্নিত ‘অযোগ্য’রা কোন স্কুলে পড়াতেন তার উল্লেখ নেই?
যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তেই বিচারব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, ফল কী হবে বুঝতেই পারছি না। বরং বিভ্রান্তি বাড়ছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানেই তিনি জানান, হাই কোর্টের নির্দেশমতো এ দিনই চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি। তার পরই প্রকাশিত হল তালিকা।
গত ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র একাদশ-দ্বাদশ এবং নবম-দশমের নিয়োগপরীক্ষার আয়োজন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মেনে অগস্ট মাসের শেষের দিকেই প্রকাশ চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকা।