Online submission of HS marks

উত্তরপত্রের নম্বর মার্কশিটে তোলার পদ্ধতি আরও সরল করল উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ

যে পদ্ধতিতে নম্বর সার্ভারে আপলোড করা হত তার নাম ‘অপটিক্যাল কারেক্টার রিডার(ওসিআর)।’ অনলাইনে এ বার নম্বর সরাসরি সংসদের কাছে পৌঁছে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়নের নম্বর জমা দেওয়া যাবে অনলাইনে। খাতা দেখার পর বাড়িতে বসেই অনলাইনে নম্বর আপলোড করতে পারবেন পরীক্ষকরা। মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে সহজ ও সরল করে ভুল ভ্রান্তি দূর করতে এই সিদ্ধান্ত সংসদের।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এই প্রথম বার অনলাইনে সমস্ত করা হচ্ছে। বাড়িতে বসেই খাতা দেখার পর পরীক্ষকরা সরাসরি সংসদের পোর্টালে নম্বর জমা করতে পারবেন।”

অনলাইন পদ্ধতি চালু হওয়ার ফলে সময় অনেকটা কম লাগবে। পাশাপাশি ভুল ত্রুটিও কমবে বলে মনে করছেন সংসদের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এই পদ্ধতি চালু করার আগে পরীক্ষক-শিক্ষকরা মার্কস ফয়েলের হার্ড কপিতে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর লিখে তাতে থাকা ওএমআর শিটে নম্বর চিহ্নিত করে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে জমা দিতেন। প্রধান পরীক্ষকরা তা যাচাই করে জমা দিতেন সংসদের আঞ্চলিক অফিসে। সেখান থেকে তা পাঠানো হত সংসদের অফিসে। সেখান থেকে নম্বর সার্ভারে আপলোড করা হত। সংসদ সূত্রের খবর, যে পদ্ধতিতে নম্বর সার্ভারে আপলোড করা হত তার নাম ‘অপটিক্যাল কারেক্টার রিডার(ওসিআর)।’

Advertisement

অনলাইনে এ বার নম্বর সরাসরি সংসদের কাছে পৌঁছে যাবে। রাতারাতি উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর আপলোডের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানালেও তাঁর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “অনলাইনে নম্বর জমা দেওয়ার যে ব্যবস্থা সেটা কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হঠাৎ করে এই বিষয়টি চালু না করে আলোচনার মাধ্যমে করলে অনেক ভাল হত।”

পুরনো পদ্ধতিতে পরীক্ষকের কাছ থেকে সংসদের কাছে নম্বর জমা হওয়া ও সেই নম্বর স্ক্যান করে সার্ভারে ওঠার ক্ষেত্রে প্রায় ২০ দিন সময় লাগত। ওসিআর-এর মাধ্যমে স্ক্যান করার পরও তা ‘ম্যানুয়ালি’ যাচাই করতে হত দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট প্রধান পরীক্ষকরা নির্দিষ্ট পদ্ধতির পর লগ-ইনের পরেই তার অধীনে থাকা কত উত্তরপত্র বরাদ্দ রয়েছে তা দেখতে পাবেন ওয়েবসাইটে। সেখানেই নম্বর ফয়েলের ডিজিটাল ভার্সন থাকবে। এমনকি পরীক্ষার্থীদের নাম ও রোল নম্বর পর্যন্ত সেখানে বসানো থাকবে। শুধু সেখানে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্তনম্বর লিখতে হবে প্রধান পরীক্ষককে। কোনও ভুল তথ্য দিলে তা এডিট করার সুযোগ থাকবে।

এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ ও শেষ হচ্ছে ২৭ তারিখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement