law semister exeam

প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসেছেন কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতা!

১৯৭ জনের মধ্যে প্রথম সেমেস্টারের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেছে নির্যাতিতা ছাত্রী‌ও। সূত্রের দাবি, তিনি নিজে কলেজে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেনি। পরীক্ষা শুরু বুধবার দুপুর ২ থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৩:৩৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

পরীক্ষায় বসছেন কসবা আইন কলেজের নির্যাতিতা ছাত্রী। বুধবার, ১৬ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে আইন স্নাতকের প্রথম সেমেস্টারে পরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তায় ওই ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এ বার কসবা আইন কলেজকে পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়নি। কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরই এই পদক্ষেপ করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, কলেজের প্রথম বর্ষের ১৯৭ জন পড়ুয়াই আডমিট কার্ড সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা আজ পরীক্ষাও দেবেন। পরীক্ষা শুরু বুধবার দুপুর ২ থেকে।

এই ১৯৭ জনের রয়েছেন নির্যাতিতা ছাত্রীও। তবে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রী নিজে কলেজে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেনি। নির্যাতিতার পরিবার অথবা, অধ্যাপকদের তরফে কেউই জানাতে চাননি আদৌ তিনি পরীক্ষায় বসবেন কিনা!

Advertisement

তবে, এই কলেজের কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে, যাতে ওই ছাত্রী নির্বিঘ্নে, নিরাপদে পরীক্ষা দিতে পারেন। এমনকি, কলেজের অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁর আসনও নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের নামও সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কলেজে গিয়ে পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করেছিলেন। সে রাতেই ওই ছাত্রী কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীর দ্বারা নির্যাতিত হন বলে অভিযোগ। প্রাথমে ওই ছাত্রীটি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের তরফে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়। তার পরেই নাকি তিনি পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে , পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “লেখাপড়ার কোন‌ও বিকল্প হয় না, আমরা এটাই বুঝিয়েছিলাম। আর এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর কোন‌ও অন্যায় নেই। ছাত্রীটি কেন লজ্জা পাবে? ওর এই সিদ্ধান্ত সমাজের কাছে এক উদাহরণ সৃষ্টি করবে।”

অন্য দিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার জন্য ১৪ টি সরকারি এবং বেসরকারি আইন কলেজের মধ্যে ১১ টি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র হয়েছে। এই তালিকায় নেই সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement