লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ। ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। ভাল নয়, অধীনস্থ কলেজগুলির পরিস্থিতিও। একমাত্র লেডি ব্রেবোর্ন কলেজই মান রেখেছে ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের। দেশের সেরা ১০০টি কলেজের তালিকায় ৮৬ বছরের এই প্রতিষ্ঠান অর্জন করেছে ৪৭তম স্থান। গত বছর অবশ্য উৎকর্ষ তালিকায় স্থান ছিল না লেডি ব্রেবোর্নের।
এ বারের এই ফল সন্তোষজনক বলেই মনে করছেন অধ্যক্ষ শিউলি সরকার। তিনি বলেন, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজ হিসাবে তালিকায় জায়গা করে নেওয়া যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। তবে আরও ভাল ফল হতে পারত। কোথায় খামতি থেকে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।” তাঁর মতে, প্লেসমেন্ট এবং গবেষণার সাফল্যের নিরিখে ভাল নম্বর পেয়েছে লেডি ব্রেবোর্ন। কিন্তু ‘পিআর পার্সেপশন’ অর্থাৎ জনগণের মতামত বিভাগে ততটা ভাল নয় ফল। এ ক্ষেত্রে কী ভাবে আরও নম্বর পাওয়া যায়, পরের বার সে দিকেই নজর রাখবেন তাঁরা।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে উৎকর্ষের নিরিখে ভাল করলেও পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গত মাসে স্নাতকে ভর্তি শুরুর সময়ই কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ৭০ শতাংশ আসন ফাঁকা থেকে যেতে পারে। তবে শুধু স্নাতক নয়। কিছু বিষয়ে স্নাতকোত্তরও পড়ানো হয় এই কলেজে। সে ক্ষেত্রে সেরার তালিকায় নাম থাকার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
গত বছর সর্বভারতীয় উৎকর্ষ তালিকায় জায়গা পেয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ বেথুন কলেজ। এ বার প্রথম ১০০টি কলেজের তালিকায় তাদের নাম নেই। স্কটিশ চার্চ কলেজেরও নাম ওঠেনি এই তালিকায়। গত বছর এ দু’টি কলেজ যথাক্রমে ৯১ ও ৮৮তম স্থানে ছিল।
২০২৫ উৎকর্ষ তালিকায় প্রথম ১০টি কলেজের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টেনারি কলেজ। তবে গত বছরের তুলনায় তিন ধাপ পিছিয়ে তারা এ বছর রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। একই ভাবে গত বছরের তুলনায় দু’ধাপ পিছিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এ বার অষ্টম স্থানে। প্রথম ৫০টি কলেজের তালিকায় এ রাজ্যের আরও কয়েকটি কলেজ রয়েছে। ১৯তম স্থানে রয়েছে বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, ২৪-এ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ এবং ৪২-এ মেদিনীপুর কলেজ।
রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টিনারি কলেজের অধ্যাপক, গবেষক স্বপনকুমার ঘোষ চলতি বছর এক ধরনের মাশরুম বা ছত্রাকে (কুড়কুড়ে ছাতু) মারণরোগ ক্যানসারের প্রতিরোধী ক্ষমতার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। পাশাপাশি, কলেজে ক্যানসাররোধী ‘ড্রাগ’ তৈরির উদ্দেশ্যে আধুনিক রিসার্চ ল্যাবরেটরিও তৈরি করেন। তাই গবেষণা উৎকর্ষের বিচারে এনআইআরএফ ষষ্ঠ স্থান দিয়েছে এই কলেজকে। যদিও ২০২৪-এর তালিকা অনুযায়ী, তৃতীয় স্থানে ছিল রহড়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টিনারি কলেজ। ষষ্ঠ স্থানে ছিল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, ১৭ নম্বরে বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির, ২৪ নম্বরে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ, ৩২ নম্বরে মেদিনীপুর কলেজ।