অরুণাভ দাস এবং অভিষেক দাস। নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিকের রেজ়াল্টে ছিল দু’নম্বরের ফারাক, উচ্চ মাধ্যমিকে হল এক নম্বরের। আবার জন্মের সময়ও ব্যবধান ছিল দু’মিনিটের। অরুণাভ দাস এবং অভিষেক দাস। দুই যমজ ভাই, চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন। অরুণাভের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭, অভিষেকের ৪৮৮। দু’জনেরই স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার।
২০২৩-র মাধ্যমিকেও নজরকাড়া রেজাল্ট করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছাতিনা কান্দির বাসিন্দা এই যমজ ভাই। তাঁরা স্কুলের গণ্ডি পার করলেন কান্দি রাজ হাইস্কুল থেকে। মা সারদা দাস। পেশায় গৃহবধূ, বাবা পশু চিকিৎসক। দুই ভাই পড়াশোনা ছাড়াও ছবি আঁকতে এবং সিনেমা দেখতে ভালবাসে। দুই ভাই-ই আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চান। একসঙ্গে এক ঘরে পড়াশোনা করেন তাঁরা। তাঁদের সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্যেরা।
যদিও এত মিলের মাঝে ফারাক রয়েছে আইপিএল-এ দল সমর্থনে, পছন্দের তারকার তালিকাতে। এই নিয়ে ছোটখাট তর্কাতর্কি মাঝেমধ্যেই বেশ জমে। এক ভায়ের কথায়, ‘‘এগুলি আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। পরে হয়তো আমাদের পেশা আলাদা হয়ে যাবে। তবে আমরা একসঙ্গেই থাকতে চাই সব সময়।”
২ নম্বরের জন্য দাদা অরুণাভ এগিয়ে গিয়েছিল মাধ্যমিকে। ভাই পেয়েছিল ৬৮০। অরুণাভর নম্বর ছিল ৬৮২। বাবা অমিতাভ বলেন, “ওদের দুই ভাইয়ের খুব মিল। এক জন আর এক জনকে ছাড়া থাকে না। আমরা চাই, জীবনে সফল হওয়ার পাশাপাশি ভাল মানুষও হোক।’’