WB HS Topper 2025

ধর্ম ধর্মের জায়গায়, সংবিধানই শ্রেষ্ঠ! মনে করেন উচ্চ মাধ্যমিকের উর্দু বিভাগে প্রথম হওয়া সাজিদ

বাবা মহম্মদ জাহির হুসেনের কাপড়ের ব্যবসা। কখনও হাটে কখনও আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি, তা দিয়েই সংসার টানেন। অভাবের মধ্যেও ছেলে-মেয়েকে পুঁথিগত শিক্ষা দিতে কোনও দ্বিধা করেনি কখনও।

Advertisement

অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৫ ১৭:৪৪
Share:

বাবা-মায়ের সঙ্গে সাজিদ হুসেন। নিজস্ব চিত্র।

‘‘জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না। ধর্ম ধর্মের জায়গায়, সংবিধানই শ্রেষ্ঠ। যা হয়ছে তা সংবিধানকে অবমাননা করা। ভারতের সেনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্যাঘাত করে। এটা প্রয়োজন ছিল।’’ সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সপ্তম এবং উর্দু বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান পাওয়া সাজিদ হুসেন।

Advertisement

সাজিদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। সপ্তমের তালিকায় মোট ১১ জন ছিল। তার মধ্যে একজন সাজিদও। অত্যন্ত নিম্নবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া। বাবা-মা, বড় দিদি এবং ছোট দুই ভাইকে নিয়ে সাজিদের পরিবার। পাড়ার কোচিং, স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যেই এমন ফল। বাবা মহম্মদ জাহির হুসেনের কাপড়ের ব্যবসা। কখনও হাটে কখনও আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি, তা দিয়েই সংসার টানেন। অভাবের মধ্যেও ছেলে-মেয়েকে পুঁথিগত শিক্ষা দিতে কোনও দ্বিধা করেনি কখনও। সাজিদের বাবা বলেন, ‘‘ওর দিদি স্নাতক পড়ছে, ভাইয়েরা স্কুলে পড়ে। আমি জানি না কী ভাবে টাকা জোগাড় করব। কিন্তু ও যা পড়তে চায়, আমি সম্পূর্ণ ভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করব।’’

এর পর কী করবেন?

Advertisement

‘‘সমাজে বদল আনতে চাই। আইএএস অফিসার হওয়ার ইচ্ছে তাই। জানি না কী ভাবে টাকা আসবে। সব কিছুই ছেড়ে দিয়েছি উপরওয়ালার হাতে।’’

হাওড়ার শিবপুরের এক বস্তিতে থাকেন সাজিদ। হাওড়া হাই স্কুল (উর্দু মাধ্যম) থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। ঘড়ি ধরে না পড়লেও দিনে আট ঘণ্টার বেশি পড়তেনই। কঠোর অধ্যাবসায়, নিয়মমাফিক পড়াই ভাল ফল আনতে পারে বলে মনে করেন সাজিদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement