প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ইতিমধ্যে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার তিন হাজারের কাছাকাছি পড়ুয়াদের নিয়ে কেরিয়ার গাইডেন্স ক্লাস করিয়েছে শিক্ষা সংসদ। যার পোশাকি নাম ‘কম্পিটিটিভ গাইডেন্স প্রোগ্রাম’। এ বার শুধু কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নয়। অন্য জেলাতে গিয়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শনী মল্লিক বলেন,‘‘ইতিমধ্যে আমরা দু’টি ভাগে ‘কম্পিটিটিভ গাইডেন্স প্রোগ্রাম’ করানো হয়েছে বিদ্যাসাগর ভবনে। এ বার ছেলে মেয়েদের সুবিধার জন্য শিক্ষা সংসদ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেবে।’’
২০২৬ সালের সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ও ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (ডব্লিউবিজেইই)-এর প্রতি বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার দু’টি পর্যায় ইতিমধ্যে কলকাতায় আয়োজিত হয়েছে ১৬ দিন ধরে। যা চলেছিল ১২ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত। যেখানে প্রতি দিন ২০০ জন করে পড়ুয়ার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণে ২৫ স্কুলের পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিল দুই ২৪ পরগনা থেকে। এ ছাড়াও কলকাতা হাওড়া ও হুগলি মিলিয়ে ১৫০ স্কুলের পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ বার আর কলকাতায় নয়। জেলার পড়ুয়াদের যাতে কলকাতায় এসে প্রশিক্ষণ নিতে না হয়, সে জন্য জেলায় পৌঁছে গেল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরে মহকুমায় এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ব্যারাকপুরের ৭০ স্কুলের ৭০০ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছে। চলতি মাসের কল্যাণী, হাবরা এবং অগস্ট মাসে বারাসাতে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা সংসদের অধীনে রয়েছে রাজ্যের প্রায় ৭০০০ স্কুল। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ স্কুলের বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কেরিয়ার গাইডেন্সের এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে ১২ মে থেকে। প্রশিক্ষণের সময় প্রতি দিন ক্লাসের পর মক টেস্ট নেওয়া হয়। প্রতি দিন চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার ক্লাস হয়। কাউন্সিলের তরফে প্রতি বিষয়ের ক্ষেত্রে তিন জন করে শিক্ষক এই ক্লাসগুলি করান। ক্লাসে প্রতি বিষয়ের বিশেষ বিশেষ মডিউল পড়ানো হয়। রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার আদলে মক টেস্টও নেওয়া হয়। প্রতি দিনই ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পড়ুয়াদের ফলাফলও জানিয়ে দেওয়া হয়।