— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সারা দেশের মধ্যে এ বার এ রাজ্যেই প্রথম মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়েছে সেমেস্টার পদ্ধতিতে। উচ্চ মাধ্যমিকের মতো মাদ্রাসার ফাজিল ২০২৬-এর পরীক্ষাও হয়েছে ওএমআর শিট-এ। সেই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। এ বার পরীক্ষায় পাশের হারে এগিয়ে ছাত্রেরা (৯৬.০৬ শতাংশ)। ছাত্রীদের পাশের হার ৯০.০৯ শতাংশ। এই পর্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৫,৫০৪ জন। মোট পাশের হার ৯৩.৩৮ শতাংশ, ২০২৪-এর তুলনায় ০.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মত মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদও সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়েছে। এ বারের পরীক্ষায় পাশের হার সামান্য বেড়েছে।”
২০২৫-এর তৃতীয় সেমেস্টার পরীক্ষায় মোট ৬,৩৭২ জন পরীক্ষার্থী ছিল, এদের মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিল ৫,৮৯৪ জন। ৩,২৫১ জন ছাত্রের মধ্যে পাশ করেছে ৩,১২৩ জন। অন্য দিকে, ২,৬৪৩ জন ছাত্রীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২,৩৮১ জন। মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ৫,৫০৪ জন।
শতাংশের হারে প্রথম স্থানে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার (১০০ শতাংশ)। দ্বিতীয় স্থানে হুগলি (৯৭.৭২ শতাংশ) এবং তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়া (৯৬.৬৭ শতাংশ)।
ফাজিল-এর তৃতীয় সেমেস্টারে অকৃতকার্য হয়েছে ৮৪০ জন। অনুপস্থিত ছিল ৪৭৮ জন। যারা এই সেমেস্টারে বসেনি, তারা চতুর্থ সেমেস্টার দেওয়ার সুযোগ পাবে। ওই একই দিনে তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষাও দিতে হবে তাদের।
বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। সরাসরি ফল দেখার সুযোগ রয়েছে পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে। পরীক্ষার্থীরা চাইলে সেখান থেকে মার্কশিট ডাউনলোডও করে নিতে পারবে। পরীক্ষা শেষের ৩৩ দিনের মাথায় এই ফলপ্রকাশ করছে পর্ষদ। যদিও এর মধ্যে কর্মদিবস ছিল মাত্র ১৫ দিন।
আসন্ন বিধানসভা ভোটের কারণে চতুর্থ তথা চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২৬-এর ২৯ জানুয়ারি ওই পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আজ পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের ফাজিল (মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উচ্চমাধ্যমিক) পরীক্ষার তৃতীয় সেমিস্টারে সকল সফল ছাত্র-ছাত্রীকে জানাই আমার শুভেচ্ছা। তোমাদের বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অভিনন্দন জানাই। দেশের মধ্যে প্রথমবার সেমেস্টার পদ্ধতিতে ফাজিল পরীক্ষা হল, এই বিপুল আয়োজন সঠিকভাবে করার জন্য এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার ধন্যবাদ জানাই। যারা এবার ভালো ফল করতে পারোনি তাদের বলব, হতাশ না হয়ে চতুর্থ সেমিস্টারে যাতে ভালো ফল হয় তার চেষ্টা করো।”