জয়েন্টের পর কম্পিউটার সায়েন্সেই বাড়ছে ঝোঁক। ছবি: সংগৃহীত।
গত দু’দশকে ক্রমশ বেড়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক পড়ার চাহিদা। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স-এর ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ মেধাবীই রাজ্যের বাইরে কোনও না কোনও প্রতিষ্ঠানে এই বিষয় নিয়ে পড়তে চলে যাচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপটিটিউড টেস্ট (গেট)-এর মতো পরীক্ষায়ও এই বিষয়টিতে সবার্ধিক পড়ুয়া নথিভুক্ত করছেন। কিন্তু কেন বাড়ছে এই বিষয়ের চাহিদা?
সম্ভাব্য কারণ:
কৃত্রিম মেধা, সাইবার সুরক্ষা, মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ, ডেটা সায়েন্স, সফট্ওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মতো একাধিক শাখায় দক্ষ হয়ে ওঠার সুযোগ দিয়ে থাকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়লে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই পড়ুয়ারা দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে চাইছেন। তাই স্নাতক স্তর থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই বিষয়টির পাঠ্যক্রমে প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েক বছরে। নানা ধরনের নতুন প্রযুক্তির পাঠ সামিল হয়েছে। প্রতি নিয়ত বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তির দিক-দিগন্ত। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্রমাগত নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁরা পড়ুয়াদেরও সর্বশেষ আপডেট শিখিয়ে দিচ্ছেন।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ:
খরচ কত?
স্নাতক স্তরের ক্ষেত্রে আইআইটি প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে পড়ার সম্পূর্ণ খরচ ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এনআইটি-র ক্ষেত্রে সেমেস্টার পিছু ৮০ হাজার টাকা ফি নেওয়া হয়ে থাকে। কিছু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি কোর্সের জন্য ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা সম্পূর্ণ খরচ হিসাবে ধার্য করা হয়।
পেশা প্রবেশের সুযোগ:
এই বিষয়ে পড়াশোনা করলে সফট্ওয়্যার ডেভেলপার, সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা সায়েন্টিস্ট, সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট, ডেভঅপস ইঞ্জিনিয়ার, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স/ মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চাকরির সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়াও দেশের সরকারি এবং সরকার অধীনস্থ সংস্থায় ট্রেনি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবেও কাজ শেখার সুযোগ দেওয়া হয়।
রাজ্য জয়েন্টের কৃতীরা কোথায় পড়বেন?