কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আহত ৩

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। ঘটনাটি ঘটেছে এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কেশপুরের টাঙ্গাগেরা এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জন তৃণমূল কর্মী। এঁদের মধ্যে দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৪ ১২:২০
Share:

বোমার আঘাতে আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। ঘটনাটি ঘটেছে এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কেশপুরের টাঙ্গাগেরা এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জন তৃণমূল কর্মী। এঁদের মধ্যে দু’জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য জন কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল এ দিন?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজের মজুরির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বহু দিন ধরেই এলাকায় তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। এর আগেও এলাকায় বেশ কয়েক বার গন্ডগোল হয়। এ দিন সকালে সেই গন্ডগোল চরমে ওঠে। বাসিন্দাদের কথায় সকাল থেকেই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে তবেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

এ দিনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল নেতা তপন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সিপিএমের লোকজনই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।” অন্য দিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দলুই বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এ দিনের ঘটনাকে আড়াল করতেই তৃণমূলের নেতারা মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন