আহত জওয়ানকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। ছবি: এএফপি।
সীমান্ত বরাবর অব্যাহত পাক গুলিবর্ষণ। গত কয়েক দিনের মতো বুধবার সারা রাত গুলি, মর্টার-সহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রাম এবং বিএসএফের চৌকিগুলিকে নিশানা করেছে পাক রেঞ্জার্সবাহিনী। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। সূত্রের খবর, রাতভর চলা গুলির লড়াই চলছে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত।
বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর বিএসএফের ৬০টি চৌকি এবং ৯০টি গ্রাম লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক সেনা। হামলায় সাম্বা এবং কাঠুয়া জেলায় ৮ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিন জন বিএসএফ জওয়ান। সেনা সূত্রে খবর, ২০০৩ সালের পর এত বড় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সাম্বা, হীরানগর, রামগড়, আরনিয়া, আর এস পুরা, কানাচক-সহ প্রায় সমগ্র ১৯২ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়েই চলছে গুলির লড়াই। সীমান্তের গ্রামগুলি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে।” পাক হামলায় তিন বিএসএফ জওয়ান-সহ আট জনের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জম্মুর জেলাশাসক অজিত কুমার সাহু। শুধুমাত্র জম্মু থেকেই প্রায় ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। এ ছাড়া কাঠুয়া এবং সাম্বা সেক্টর থেকে যথাক্রমে ৭ হাজার এবং ৩ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পাক হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি। পাক হামলার যথাযথ উত্তর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। তাদের ঠেকাতে প্রশংসনীয় কাজ করছে সেনাবাহিনী। এখনই হামলা বন্ধ করা উচিত পাকিস্তানের। এই পরিস্থিতিতে শান্তি আলোচনা চালানো কার্যত অসম্ভব।”